হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে দেড় বছরের ব্যবধানে চেয়ারম্যান পদে শুরু হয়েছে ভোটের লড়াই। আর নির্বাচন কেন্দ্র করে জমজমাট হয়ে উঠেছে নাইক্ষ্যংছড়ির গ্রাম ও হাটবাজার। প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে অলিগলি। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন দুজন প্রার্থী। এখানে লড়াই হচ্ছে নৌকা আর ধানের শীষের।
এরই মধ্যে ভোটব্যাংকে ‘পাহারা’ বসিয়েছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার অপেক্ষা করছেন শেষ রাতের জন্য। আগামী ৩১ অক্টোবর নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে চেয়ারম্যান পদে ও দোছড়ি ইউনিয়নে স্থগিত ৭ নম্বর সাধারণ সদস্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের আশারতলী বাজারে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই টের পাওয়া গেল ভোট-উৎসবের আমেজ। সন্ধ্যা নামার আগেই মাইকের আওয়াজে চারদিক সরগরম। সভা, গণসংযোগ, খন্ড মিছিলে নানাভাবে প্রচারণা। ভোটের দিন ঘনিয়ে আসছে, তাই বাড়ছে উত্তেজনা।
ভোট নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার মাঝে গুণগত মূল্যায়নের প্রবণতা একেবারে হারিয়ে যায়নি। সবখানেই ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা যায়, তাঁরা এলাকার উন্নয়ন চান। তবে কেউ কেউ প্রার্থীর যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাকে। আবার কেউ বা মনে করছেন, ন্যায় ও নীতিবান লোকদেরই জনপ্রতিনিধি হওয়া উচিত।
চাকঢালা গ্রামের মধ্য বয়সি ভোটার আবদুর রাজ্জাক বলেন, দুজন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত তসলিম ইকবাল চৌধুরী যোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছে। কারণ তসলিম সবসময় অসহায়দের পাশে থাকে। তিনি ছাত্ররাজনীতি থেকে মানুষের সেবা করে আসছেন। পাশাপাশি প্রতিটি ঘরে পরিচিত। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী নুরুল আলম কোম্পানি ধনী লোক হলেও মানুষকে ভালবাসেন না। এই জন্য তসলিমের জয় এক প্রকারে নিশ্চিত। তবে নুরুল আলম কোম্পানিকে নিয়েও অনেকে স্বপ্ন দেখছেন।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবু সৈয়দের কাছে হেরেছিলেন বিএনপি প্রার্থী নুরুল আলম কোম্পানি। গত ২১ ফেব্রুয়ারি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন চেয়ারম্যান মো. আবু সৈয়দ। এরপর শূন্যপদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এই ইউনিয়নের ভোটারের সংখ্যা ৯ হাজার ১২৬। এর মধ্যে নারী ভোটার ৪ হাজার ৩৭২ জন।
উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্ণিং কর্মকর্তা অরুণ উদয় ত্রিপুরা বলেন, ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য উপ-নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
পাঠকের মতামত