নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে দুলাল হোসেন নামে এক সাবেক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ পূর্বাচল উপশহরের ১০ নম্বর সেক্টর ও আশপাশের মানুষ। তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দোকানপাটে চাঁদাবাজি ও মাছ লুট থেকে শুরু করে মাদক স্পট থেকে মাসোহারা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।
জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ১০ নম্বর সেক্টর এলাকার শত শত ব্যবসায়ী দুলাল হোসেনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকার নিরীহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন তিনি।
Advertisement
স্থানীয় পিঠা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা ও মাসিক ১০ হাজার টাকা হারে চাঁদা আদায় করছেন দুলাল ও তার সহযোগীরা। টাকা না দিলেই শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ১৩-১৪ বছর ধরে পূর্বাচলের ১০ নম্বর সেক্টরের একটি লেকে স্থানীয় ৩৬টি পরিবারের লোকজন মাছের খামার করেন। সম্প্রতি ওই লেক থেকে দুলাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে গেছে।
অপরদিকে লেংটার মাজার ও পূর্বাচলের হেলিপ্যাড চত্বর এলাকার অর্ধশতাধিক দোকানপাট থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম ভাঙিয়ে এসব অপর্কম করে আসছে দুলাল হোসেন ও তার সহযোগীরা। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে মারধর করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে ব্যবসা করতে দিচ্ছে না ওই বাহিনী।
জানা গেছে, পূর্বাচলের হারারবাড়ি এলাকার আব্দুল হাইয়ের ছেলে দুলাল হোসেন স্থানীয়দের সঙ্গে প্লট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে জালিয়াতি করেন। ওই জালিয়াতির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী ২০০৩ সালে সপরিবারে এলাকা ছাড়া করেন।
সম্প্রতি দুলাল বাহিনী পূর্বাচল এলাকায় আবারো মাদক নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট করছে। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন। দুলাল হোসেনের মেয়ের কেলেংকারি মামলা থেকেও বাদ যাননি তিনি।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুত্র যুগান্তর