নওগাঁর রাণীনগরে ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাবার ঘটনায় শিক্ষক ওসমান গনি (৫৫) ও ছাত্রী সুইটি আক্তারকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তোপের মুখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরাখাস্ত করেছে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের নওগাঁ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পালশা কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা বিষয়ের শিক্ষক ওসমান গনি। ওই শিক্ষকের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। শরীর চর্চা বিষয়ের ক্লাস করার সময় ছাত্রী সুইটি আক্তারকে পরীক্ষায় বেশি নাম্বার দেয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সুইটি ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
গত ৮ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলার করজগ্রামের প্রবাসী সাইদুর হকের সঙ্গে সুইটি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের ২৬ দিন পর শিক্ষক ওসমান গনি গত ২ আগস্ট ছাত্রী সুইটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর সাইদুর হক বাদী হয়ে রাণীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মির হোসেন জানান, ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শিক্ষক ওসমান গনিকে চাকরিচ্যুত করার জন্য গত সোমবার পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ও শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রাণীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুর রহমান শফি জানান, শিক্ষক ওসমান গনি ও সুইটি আক্তারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে উপজেলার চরকানাই এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।