শীত এসেই গেল। শেষ হতে চলল ২০১৯ সাল। বৎসরের শেষ সময়টায় একটা ছুটির আমেজ চলে আসে। আর এই সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ঘুরে আসতে পারলে ভালোই লাগে। সময়, সুযোগ ও সাধ্য অনুযায়ী অনেকেই ঘুরে বেড়ান দেশের ভেতরে বা বাইরে। শীতের এ সময়টায় দেশের ভেতরে ঘুরতে গেলে যাওয়া যায় পাহাড়, সমুদ্র, বন বা ঢাকার আশপাশের রিসোর্টে। যাঁরা পাহাড় ভালোবাসেন, অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তারা যেতে পারেন বান্দরবান, নীলগিরি, সাজেক বা রাঙামাটির পাহাড়ি এলাকায়। এ ছাড়া আছে সিলেটের নয়নাভিরাম জাফলং, রাতারগুল, লাউয়াছড়া বা বিছনাকান্দি। আর যদি সমুদ্র ভালোবাসেন তাহলে তো আছেই পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। এ ছাড়াও আছে সেন্ট মার্টিন। কক্সবাজারে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে গেলে ঘুরে আসতে পারেন সী পার্ল ওয়াটার পার্কে।
সী পার্ল ওয়াটার পার্ক বাংলাদেশের পর্যটননগরী কক্সবাজারের প্রথম ওয়াটার পার্ক। ইনানীর রয়্যাল টিউলিপ রিসোর্টসংলগ্ন এই ওয়াটার পার্কটি ৯ একর জায়গা নিয়ে তৈরি। বিশাল এই পার্কে আছে হরেক রকমের রাইডস, তার আবার নানান রকম নাম এবং একেক রাইডের একেক রকম মজা। আছে উইন্ড স্টর্ম, মাল্টি ল্যান্ড, কামি কাযি বা বডি স্লাইড। সুড়ুত করে জলের মধ্যে ভিজতে ভিজতে গড়িয়ে পড়ার মজা। এখানে হাসাহাসি, চেঁচামেচি আর শিশুসুলভ আনন্দে মেতে ওঠার সুযোগ। আরও আছে অ্যাকুয়া লুপ, ফ্লোট স্লাইড, থান্ডার বোউল নামের রাইডস। বাচ্চাদের বিশেষ পছন্দ ফান পুল এবং রেইন ড্যান্স। রেইন ড্যান্সে পানির ফোয়ারাগুলো এমনভাবে ভেজাবে এবং চারপাশে জলের নৃত্য করবে যে মনে হবে রংধনু দেখছি। আর ফান পুলে পরিবারসহ আনন্দে মেতে ওঠার সুযোগও থাকছে অবারিত।
মোদ্দা কথা, সব বয়সের মানুষ, বাচ্চা থেকে তরুণ বা যুবক, ছেলে বা মেয়ে, পরিবারের সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করা যাবে এ পার্কে। আর এ অনাবিল আনন্দের সময়টুকুও পাওয়া যাবে সাধ্যের মধ্যেই। সী পার্ল ওয়াটার পার্কে প্রবেশের মূল্য এবং সব রাইডের দাম মিলিয়ে পড়বে জনপ্রতি মাত্র ৫৫০ টাকা।
সী পার্ল ওয়াটার পার্কের মার্কেটিং ব্যবস্থাপক আসাদুর রহমান বলেন, ‘সী পার্ল চেষ্টা করছে কক্সবাজারের পর্যটকদের বিনোদিত করতে। শহুরে জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে বা পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত ও নিরাপদ, নির্মল আনন্দ পেতে যাঁরা কক্সবাজার ঘুরতে আসেন, তাঁরা যেন রয়্যাল টিউলিপ সী পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা-এর ওপরই ভরসা রাখতে পারেন। আর সেই উদ্দেশ্যেই সী পার্ল ওয়াটার পার্ক একটি নতুন সংযোজন। আমরা কক্সবাজারের পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানাই তাঁরা যেন সী পার্ল ওয়াটার পার্কে এসে ঘুরে যান।’
তাহলে, আসছে ছুটিতে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ুন। সারা বছরের যত ক্লান্তি, হতাশা, একঘেয়েমি বা না পাওয়া—সবকিছুই রেখে আসুন বন, পাহাড় বা সাগরের কাছে। নতুন উদ্যমে আনন্দ নিয়ে শুরু হোক সবার নতুন বৎসর।