রমজানে চালু থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক স্কুল চলবে ২০ রমজান পর্যন্ত। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চালু রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হলেও তা পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে । ইতিমধ্যে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সঠিক কি না তা নিয়েই নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
শিক্ষা প্রশাসন বলছে, শিখন ঘাটতি মোকাবিলায় রমজানে ক্লাসের সিদ্ধান্ত। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা বলছেন তীব্র গরমে রোজা রেখে ক্লাস নেয়া অমানবিক। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতির হার কমে আসতে পারে। রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি হবে ২২শে এপ্রিল থেকে। আর মাধ্যমিক থেকে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাশ চলবে ২৬শে এপ্রিল পর্যন্ত। শিক্ষক-অভিভাবকরা দাবি করেছেন রমজানে ছুটি দিয়ে পরবর্তীতে ক্লাস বাড়িয়ে শিখন ঘাটতি মোকাবিলার। এদিকে সরকারও প্রাথমিকের সঙ্গে মিল রেখে ২২শে এপ্রিল থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি দেয়ার চিন্তা করছে।
এর আগে গত শুক্রবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সপ্তম বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সবাই চাইছে রমজানে গরম, ক্লাস বন্ধ রেখে দেন। আসলে তো এখন ক্লাস করা খুবই দরকার। দুটো বছর শ্রেণিকক্ষে ক্লাস হয়নি। আর সেজন্য এখন শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে না পারলে তাদের জন্য সিলেবাস শেষ করা কষ্টকর হয়ে যাবে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাসও ২২শে এপ্রিল থেকে বন্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা যায়, বাড়তে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। দু’একদিনের মধ্যে মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এতে এই ছুটির বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে আলোচনা হবে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, রমজানে ক্লাস চালু রাখলে কষ্ট বাড়বে। আবার শিক্ষার্থীদের সিলেবাস সম্পন্ন না করে পরীক্ষার হলে বসানোটাও কষ্টকর। কিন্তু দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আবার চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষাও আছে। তবে এই ছুটি কিছুটা এগিয়ে আনার চিন্তা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ও একমত হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে