দেশে জঙ্গি ঘাঁটির সংখ্যা কত? এমন প্রশ্নের সঠিক কোনো জবাব নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে। তবে গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এ সংখ্যা শ’ ছাড়িয়ে গেছে। এসব আস্তানায় তরুণ আর যুবকদের নিয়ে মগজধোলাই থেকে শুরু করে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দেশের উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলা ও বৃহত্তর চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় জঙ্গি ঘাঁটির তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। বিশেষ করে ঝিনাইদহ, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভয়ঙ্কর জঙ্গিদের অভয়ারণ্য। ভৌগোলিক ও অন্যান্য সুবিধার কারণে চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ড, বাঁশখালী ও কক্সবাজারের বেশ কিছু এলাকা হয়ে উঠেছে জঙ্গি প্রশিক্ষণের অন্যতম ক্ষেত্র। এসব অঞ্চল জঙ্গিদের নিরাপদ ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার পর তরুণদের অস্ত্র চালনা এবং বোমা ও গ্রেনেড তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে অনেক তরুণ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নেয় সেই জঙ্গি ঘাঁটিতে। পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখে অনেক তরুণ মানুষের চোখ এড়াতে নেয় ছদ্মবেশ। নিজেদের তারা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কখনো শৌখিন পর্বতারোহী হিসেবে পরিচয় দেয়। ছদ্মবেশে চলে তাদের প্রশিক্ষণ। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত করা হয় তাদের।
ঝিনাইদহের খোদ শহরেই জঙ্গিদের ঘাঁটি মেলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রীতিমতো বিস্মিত। যেখানে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন হলি আর্টিজানে হামলাকারীদের অন্যতম নিবরাস ইসলাম। তার সঙ্গে সেখানে ছিলেন শোলাকিয়ায় নিহত হামলাকারী আবির। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এমন আরও বহু আস্তানাই রয়েছে আশপাশের জেলাগুলোতে।
চট্টগ্রামে দুর্ধর্ষ প্রশিক্ষণ : চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক মুহাম্মদ সেলিম জানান, জঙ্গি প্রশিক্ষণের ‘অভয়ারণ্য’ হয়ে উঠেছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম। দুর্গম পাহাড় ও জঙ্গল থাকার সুবিধা গ্রহণ করতে বৃহত্তর এ জেলাকে প্রশিক্ষণ ও জঙ্গি তত্পরতার জন্য বেছে নিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। শুধু দুর্ধর্ষ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গোপনে দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিবাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ। র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভৌগোলিক ও অন্যান্য সুবিধার কারণে চট্টগ্রামকে নিরাপদ হিসেবে মনে করছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা যাতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র না হয়, এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের গহিন অরণ্যের পাহাড়গুলোকে প্রশিক্ষণক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। এর আশপাশ এলাকায় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলায় অভিযানের আগে তাদের কাছে পৌঁছে যায় আগাম খবর। এতে মুহূর্তেই তারা স্থান ত্যাগ করে।’ অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের টার্গেট করে জঙ্গি সংগঠনগুলো। শুরুতে ধর্মীয় আলোচনা এবং পরে বই-পুস্তক দেওয়া হয় পড়তে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিহত মুসলিম শিশুর ভিডিও দেখানো হয়। ইরাক, ফিলিস্তিন, আরাকানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের দৃশ্য, ওসামা বিন লাদেন, আইমান আল জাওয়াহিরি ও অন্যান্য জঙ্গি নেতাদের বক্তব্য ও সাক্ষাৎকার, বিভিন্ন জিহাদবিষয়ক ভিডিও, আফগান যুদ্ধ, বিভিন্ন স্থাপনায় বোমা হামলার দৃশ্য দেখানো হয়ে থাকে। একসময় জিহাদে উদ্বুদ্ধ হলে তাদের আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস, আল-শাবাব, আল-কায়েদা, আল-নুসরার বাংলা অনুবাদ করা জিহাদে উদ্বুদ্ধকরণের বিভিন্ন ভিডিওচিত্র দেখিয়ে বোঝানো হয়। এরপর তাদের প্রশিক্ষণে নেওয়া হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর প্রশিক্ষণ দেখিয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। কীভাবে বিমান হাইজ্যাক কিংবা কাউকে অপহরণ করতে হবে এর ভিডিওচিত্র দেখানো হয় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে। এই প্রশিক্ষণ শেষ হলে দুর্গম পাহাড়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৪৫ দিনের দুর্ষর্ধ জঙ্গি প্রশিক্ষণে। বেশির ভাগ দুর্ষর্ধ জঙ্গিকে ভৌগোলিক ও অন্যান্য সুবিধার কথা চিন্তা করে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দুর্গম পাহাড়ে তাদের বিমান ছিনতাই, গেরিলা ট্রেনিং, সামরিক কায়দায় ফায়ারিং, বোমা তৈরি ও হামলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ নেওয়া জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজি), জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), আনসার আল ইসলাম, তেহরিক-ই-তালেবান, হিযবুত তাহ্রীর, আরাকান রোহিঙ্গা ফোর্স, আরাকান পিপলস আর্মি, লিবারেশন মিয়ানমার ফোর্স, আরাকান মুজাহিদ পার্টি, রোহিঙ্গা ইনডিপেনডেন্টস ফোর্স, রোহিঙ্গা প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট, কেতাল বাহিনী, এসহার বাহিনী ও হরকাতুল মুজাহিদীন।
ঝিনাইদহ ভয়ঙ্কর জঙ্গিদের অভয়ারণ্য : ঝিনাইদহ দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। ঝিনাইদহ প্রতিনিধি শেখ রুহুল আমিন জানান, গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারী জঙ্গিদের মধ্যে নিবরাসকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা একটি সুরক্ষিত মেসে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার সোনালীপাড়ার দারুস সালাম মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামান রোকন। রোকনুজ্জামান ওই মেস-সংলগ্ন মসজিদে ইমামতি আর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। আর নিবরাসের খালাতো ভাই পরিচয়ে ছিলেন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলাকারী নিহত জঙ্গি আবির রহমান। এদের মধ্যে ঝিনাইদহে ‘সাঈদ’ নামধারী জঙ্গি নিবরাস হামদহ সোনালীপাড়ায় মেসে প্রায় সব সময় অবস্থান করতেন। আর আবির মাঝেমধ্যে মোটরসাইকেলে বাইরে বেড়াতে যেতেন। তবে কোথায় যেতেন তা স্থানীয় বাসিন্দারা বলতে পারেননি। তারা দুজন স্থানীয় ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলায় অংশ নিতেন। তাদের আচার-আচরণ দেখে ভয়ঙ্কর জঙ্গি মনে হয়নি বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক তরুণ জানান। তাদের মেসের পাশে একটি বহুতল নূরানি মাদ্রাসা ও শিবির নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি মেস আছে। এ ঘটনার পর সেখান থেকে সবাই গা-ঢাকা দিয়েছে। এলাকায় এক ধরনের অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ছাড়া মেস থেকে কিছুটা দূরে ঝিনাইদহ মর্গ হাউসের পাশে অবস্থিত দিশারী প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড স্কুল, যার মালিক এক জামায়াত নেতা। সেখানে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে জামায়াত-শিবির কর্মীদের আনাগোনা ছিল। তবে এলাকাটি নজরের বাইরে রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেএমবির শক্ত ঘাঁটি : চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম জানান, সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাইয়ের উত্থানের পর জেএমবির দেশব্যাপী সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ ঘটনার মধ্য দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় জেএমবির শক্ত ঘাঁটির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সে সময় শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষার সাহাপাড়া, শাহবাজপুর এবং কানসাটের টিকরা, ধোবরা বাজার, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর ও নাচোলে জেএমবির শক্ত ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল। ওই সময় এলাকাগুলো থেকে র্যাব ও পুলিশ প্রায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনে। কিন্তু উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে মামলাগুলো থেকে অনেকেই রেহাই পেয়ে যায়। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঠিক নজরদারি না থাকায় সক্রিয় জেএমবি সদস্যরা এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ১১ জুলাই বড় ধরনের নাশকতা চালানোর প্রস্তুতি সভা চলাকালে সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সুন্দরপুর বাগডাঙ্গা গ্রামের এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০টি তাজা ককটেলসহ দুই জেএমবি সদস্যকে আটক করে ডিবি পুলিশ। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, একসময় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জড়িতরাই জেএমবিতে যোগ দেয়। এখনো জেলার শিবগঞ্জ, কানসাট, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর ও নাচোলে জেএমবির শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় অর্থ ও সুযোগের অভাবে তারা চুপ রয়েছে। জেএমবি সদস্যদের আটক প্রসঙ্গে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, পুলিশের তত্পরতা অব্যাহত থাকায় এখন এলাকায় জেএমবির কার্যক্রম নেই।
সাতক্ষীরায় জঙ্গিদের আনাগোনা : সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি জানান, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার পর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেশ কয়েকজন জেএমবি জঙ্গি সাতক্ষীরা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের আর গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশের ধারণা, তারা দেশের কোনো না কোনো স্থানে বসে জেএমবিকে আবারও সংগঠিত করছে। তবে যে ১৭ জন জেএমবি জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছিল, তাদের মধ্যে দু-তিনজন জামিনে বেরিয়ে আসার পর আবারও গ্রেফতার হয়েছে। অন্যরা এখনো আটক রয়েছে। তবে সাতক্ষীরায় নতুন মুখের আনাগোনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জঙ্গিদের আনাগোনা শুরু হয়েছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায়। জানা গেছে, ২০০৫ সালের ওই ঘটনার সময় শহরের রসুলপুরে জেএমবির একটি ঘাঁটি আবিষ্কৃত হয়। এ ছাড়া পৌর এলাকার খরিবিলা, সদর উপজেলার পাথরঘাটা ও কুশখালী মাদ্রাসায় জঙ্গিদের শারীরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। অন্যদিকে সাতানি এলাকায় তাদের অস্ত্র চালানো শেখানো হতো। পুলিশ জেএমবির জঙ্গি হিসেবে ৫২ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করে। মূলত জামায়াতের রাজধানী খ্যাত সাতক্ষীরায় জঙ্গিদের ঘাঁটি ও শক্তিশালী নেটওয়ার্কের বিষয়টি পুলিশ ও এলাকাবাসীর নজরে উঠে আসে। এসব ঘটনার পরও সাতক্ষীরায় জঙ্গি তত্পরতার বেশ কিছু ঘটনা ঘটে বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিশ্চিত করেছে। দীর্ঘদিন এখানে পুলিশের নজরে জেএমবি জঙ্গিদের তেমন কোনো তত্পরতা চোখে পড়েনি। তবে ৩ জুলাই মধ্যরাতে ধূলিহরে শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দিরে হামলা চালিয়ে পুরোহিত ভবসিন্ধু বর ওরফে বনমালীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জঙ্গি তত্পরতার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। এ ছাড়া তালার খলিসখালীর হাজরাপাড়া মন্দিরের পুরোহিত তপন চ্যাটার্জি, মোহন চ্যাটার্জি ও সোমনাথ লাহিড়িকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের পূজা না করার হুকুম দিয়ে চিঠি পাঠায় আইএস ও জেএমবি পরিচয়দাতা অজ্ঞাত জঙ্গিরা। এদিকে ঢাকায় মুক্তমনা ব্লগার অভিজিত হত্যায় জড়িত জঙ্গি সাতক্ষীরার ধূলিহরের বালুইগাছা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে শরিফুল ওরফে মুকুল রানা ১৮ জুন ঢাকার মিরপুরে পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে নিহত হন। পুলিশের ভাষ্যমতে, তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া পুলিশ জানায়, ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা করতে গিয়ে নিহত রোহান ইমতিয়াজের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালী গ্রামে। রোহান ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ইমতিয়াজ বাবুলের ছেলে। এ দুই ঘটনার পর সাতক্ষীরায় জঙ্গি তত্পরতা সম্পর্কে পুলিশ নড়েচড়ে বসে।
সুত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
পাঠকের মতামত