ঢাকা: জঙ্গিবাদ করতে গিয়ে মারা গেলে শহীদ নয়, যিনি জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করতে গিয়ে মারা যান তিনি শহীদ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।
শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ) গোল টেবিল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে একলাখ আলিম, মুফতি ও ইমামগণের ফতওয়া ও দস্তখত সংগ্রহ কমিটির আহবায়ক ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ এ মন্তব্য করেন।
সন্ত্রাসীরা ইসলামের যে রুপ তুলে ধরেছে তা প্রকৃত ইসলাম নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস আর জিহাদ এক বস্তু নয়। চোর-ডাকাত-মদখোর মারা গেলে তার জানাজা পড়ার বিধান আছে কিন্তু আত্মহত্যা করলে তার জানাজা পড়ার বিধান ইসলামে নেই।’
ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, ‘যেই হোকনা কেন বিচারহীনভাবে তাকে হত্যা ইসলাম সমর্থন করে না। সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে তাকে শাস্তি দিতে হবে। অমুসলিম নাগরিকদের হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করে না। নির্বিচারে হত্যা করাও ইসলামে জায়েজ নাই।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বিতর্কিত হতে পারি কিন্তু এক লাখ আলেম বিতর্কিত হতে পারে না। আমি মনে করি আমাদের বিষয়টি বিতর্কের ঊর্ধ্বে। এখানে দেশের অনেক প্রখ্যাত আলেম আছেন। আলেমদের মধ্যে হেফাজতে ইসলামীর মাওলানা বাবুনগরীও এখানে দস্তগত করেছেন।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের ইসলামী চিন্তাবিদদের সাথে এ ফতোয়ার বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। পবিত্র মক্কা শরীফের ইমামের সাথেও এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আমাদের ইচ্ছা আছে মক্কাশরীফের ইমামকে এদেশে এনে তার মাধ্যমে এ ফতোয়াটি তুলে ধরা।’
প্রখ্যাত এই আলেম বলেন, ‘মানব কল্যানে শান্তির ফতোয়া’ এই ফতোয়া বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। বিশ্বশান্তির ক্ষেত্রে এর চেয়ে বড় কাজ হচ্ছে কিনা আমার জানা নেই।
একলাখ আলিম, মুফতি ও ইমামগণের ফতোয়া ও দস্তখত সংগ্রহ কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সদস্য মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা মুফতী আবদুল কাইয়ূম খান, মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন প্রমুখ।
বাংলামেইল২৪ডটকম
পাঠকের মতামত