নিউজ ডেস্ক::
সীতাকুণ্ডে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি জুবাইরা ইয়াসমিনের ছোট বোন মনজিয়ারা পারভিন ওরফে মনজিয়ারা বেগমই সিলেটে নিহত জঙ্গি 'মর্জিনা' বলে ধারণা করছে পরিবার।
বিষয়টি নিশ্চিত হতে মঙ্গলবার দুপুরে জুবাইরার বাবা ও ভাই সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির জঙ্গি আস্তানা 'আতিয়া মহলের' উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
তারা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন থেকে সিলেটে উদ্দেশে রওনা করেন বলে জানান বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান এসআই আবু মুসা।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে নিহত মর্জিনাই মনজিয়ারা কিনা তা নিশ্চিত হতে সিলেট পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বান্দরবান জেলা পুলিশকে বার্তা পাঠানো হয়।
এরপর দুপুরে জুবাইরার বাবা নুরুল ইসলাম ও বড় ভাই জিয়াবুল হহকে সিলেট পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন এসআই আবু মুসা।
জেলা পুলিশ সুপার সঞ্চিত কুমার রায় বলেন, 'নিহত মর্জিনাই মনজিয়ারা কিনা তার লাশ ও পোশাক দেখে তা নিশ্চিত হতে পরিবারের দুই সদস্যকে সিলেট পাঠানো হয়েছে।'
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, মনজিয়ারার জন্ম ১৯৯৩ সালের ৩ এপ্রিল। এতে তার বাবার নাম নুরুল আমিন, মায়ের নাম জান্নাত আরা লেখা হয়েছে।
এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী যৌথখামার পাড়ার বাসিন্দা মনজিয়ারা দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জুবাইরার মা জান্নাত আরা বলেন, 'আমার তিন সন্তানের হদিস নেই। মেয়ের জামাই কামাল হোসেন প্রায় আটমাস আগে জুবাইরাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। কয়েক দিন পর ছেলে জহিরুল হক (জসিম) তাদের সঙ্গে চলে যায়।'
তিনি জানান, 'জুবাইরার একটি ছেলে হলে তার দেখাশোনার কথা বলে তার ছোট মেয়ে মনজিআরাকেও তারা চট্টগ্রামে নিয়ে যায়।'
এরপর আট মাস ধরে তাদের কোনো খবর পান না বলে জানান জান্নাত আরা।
এদিকে গত ১৫ মার্চ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের দুই জঙ্গি আস্তানা 'সাধনকুটির' ও 'ছায়ানীড়ে' সোয়াট 'অপারেশন সিক্সিটিন'নামে অভিযান চালায়।
এ সময় 'সাধন কুটির' থেকে জুবাইরার ভাই জসিম ও আরজিনা নামের এক নারীকে জঙ্গি সন্দেহে আটক করে পুলিশ। আর 'ছায়ানীড়ে' পাঁচজন নিহত হয়। এরমধ্যে জুবাইরা, তার স্বামী কামাল ও তাদের শিশু সন্তান রয়েছে।