জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনিও গুতেরেস। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিটালি চুরকিন বুধবার এ ঘোষণা দেন। জাতিসংঘে ব্রিটেনের মিশনও এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিক ভোটাভুটিতে ৬৬ বছর বয়সী গুতেরেসের মনোনয়ন নিশ্চিত করা হবে। তিনি গত এক দশক ধরে জাতিসংঘের শরণার্থী বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
গুতেরেসসহ জাতিসংঘের মহাসচিব পদে ১০ প্রার্থী ছিলেন। মোট ১৩ প্রার্থী এতে অংশ নিলেও ৩ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। বুধবারের আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত পাঁচটি অনানুষ্ঠানিক ভোটে সর্বাধিক সমর্থন পেয়েছেন গুতেরেস।
বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য গোপন ব্যালটে অংশ নেন। কোনো দেশই গুতেরেসের বিরোধিতা করেনি। এতে প্রত্যেক প্রার্থীর বিপরীতে উৎসাহ দেয়া, নিরুৎসাহিত করা ও কোনো মতামত নেই বিষয়ে ভোট নেয়া হয়। গুতেরেস ১৩টি উৎসাহ দেয়া এবং ২টি মতামত নেই ভোট পান। ভোটাভুটি শেষে চুরকিন বলেন, গুতেরেস ‘সুস্পষ্ট ফেভারিট’। আগামী বছর বর্তমান মহাসচিব বান কি মুনের স্থলাভিষিক্ত হবেন গুতেরেস। মুন ১০ বছর মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন। ৩১ ডিসেম্বর তার মেয়াদ শেষ হবে। জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে কোনো প্রার্থীই দু’বারের বেশি দায়িত্ব পাননি।
গুতেরেসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজেট ও মানবসম্পদবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট বুলগেরিয়ার ক্রিস্তালিনা জর্জিয়েভা। গত সপ্তাহে বুলগেরীয় সরকার জর্জিয়েভাকে জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব পদের জন্য মনোনয়ন দেয়। সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন জর্জিয়েভা। সাক্ষাৎকারে জর্জিয়েভা জাতিসংঘের মহাসচিব পদে নিজের যোগ্যতা তুলে ধরেন।