ইমাম খাইর::
‘আমি জাতীয়পার্টি করতাম। কোন অপরাধের সাথে আমি জড়িত ছিলাম না। শুধু প্রতিপক্ষদলের রাজনীতি করার অপরাধে আসামি বানানো হয়। আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী ইশারায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে ২২ বছর জেল খাটতে হয়েছে।’
কথাগুলো বলছিলে কারামুক্ত মীর আহমদ।তার বাড়ী টেকনাফের হ্নীলা জাদিমোরা এলাকায়।
দীর্ঘ ২২ বছর কারাভোগ করে ১৮ জুলাই সোমবার বিকেলে তিনি জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
মুক্তি পেয়ে বের হওয়ার পথে কারাফটকে দেখা মেলে তার। দীর্ঘ একটি শ্বাস ছেড়ে বর্ণনা দেন কারাগারে কাটিয়ে দীর্ঘ ২২ বছরের যন্ত্রণা অভিজ্ঞতা আর দুঃখের কথা।
মীর আহমদের বয়স দেখতে ৬০ বছর পেরিয়েছে মনে হয়। দাড়ি-চুল আধপাকা হয়ে গেছে। তিনি টেকনাফের হ্নীলা জাদিমোরা এলাকার মৃত আবু শামার ছেলে। তার এক ছেলে আলী হোসাইন। একমাত্র মেয়ে সাবেকুন্নাহারকে দুগ্ধপান বয়সে রেখে কারাগারের পথে হাটেন মীর আহমদ।
একটি হত্যা মামলায় তাকে ১৮ বছর সাজা দেয় আদালত। কিন্তু সাজার মেয়াদ শেষ হলেও আইনী জটিলতা ও অর্থ দৈন্যতায় তাকে অন্ধকার প্রকোষ্টে কাটাতে হয় আরো অতিরিক্ত ৫টি বছর।
জেলা কারাগারের সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ জানান, কারাগারের কয়েদী-হাজতিদের অনেক রিপোর্ট থাকে। কিন্তু দীর্ঘ বন্দি সময়ে মীর আহমদের কোন খারাপ রিপোর্ট ছিল না। তিনি খুব নম্র-ভদ্র ব্যক্তি ছিলেন। যাতায়াত খরচ দিয়ে তাকে বাড়ীতে পৌঁছার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে, মীর আহমদের ভাতিজা আব্দুল্লাহ হাসান জানান, তুচ্ছ কারণে স্ত্রীকে (আমার চাচী) হত্যা করেন। এ মামলায় তার ১৮ বছর সাজা হয়।
সুত্র,সিবিএন
পাঠকের মতামত