২০১২ সাল অনলাইন নিউজ পোর্টাল রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে তখন চলছে তোলপাড় ১৫ অক্টোবর-২০১২ থেকে বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন ‘বনপা’র আন্দোলন দেশব্যাপী তুঙ্গে। বনপাআন্দোলনের সাথে একমত পোষণ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ১৬ সদস্য বিশিষ্ট অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেন এবং নীতিমালা তৈরীর জন্য ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এইকমিটির আহ্বায়ক হলেন পিআইবি’র মহাপরিচালক শাহ্ আলমগীর । সদস্য হলেন প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার,বনপা’র সভাপতি হিসেবে আমি, বোমা’র সাধারন সম্পাদক এ,কে,এম শরিফুল ইসলাম খানসহ আরোতিন জন। কিন্তু অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রস্তুত করার সমস্ত দায়িত্বই প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার স্যারের উপর চাপিয়ে দেয়া হলো । তিনি প্রায় এক বছর ধরে অনেক পরিশ্রম করে দাঁড় করালেন “অনলাইনগণমাধ্যম নীতিমালা-২০১২”। ২০ পৃষ্ঠার এই নীতিমালাতে আমরা সদস্যরা খুব কম সংখ্যক পয়েন্ট দিয়ে তাঁকে সহযোগিতা করেছিলাম। এর মধ্যে আমি বনপা’র পক্ষ থেকে বিনামুল্যে নিউজ পোর্টাল রেজিষ্টেশনদেয়ার বিষয়টি সংযোজন করিতে সক্ষম হয়েছিলাম। এ ব্যাপারে পিআইবি’র মহাপরিচালক শাহ্ আলমগীর স্যার,প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার স্যার ও বোমা’র সাধারন সম্পাদক এ,কে,এম শরিফুল ইসলাম খানেরসমর্থন ছিল শত ভাগ । আজ অনলাইন নিউজ পোর্টাল রেজিষ্ট্রেশন দেয়ার যে প্রক্রিয়া সরকার সূচনা করেছে তার অধিকাংশ কৃতিত্বই শাহ্ আলমগীর স্যার ও প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার স্যারের । আমরা বনপা’রপক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই তাঁদেরকে।
মোস্তাফা জব্বার স্যারের সাথে পূর্ব যোগাযোগ থাকলেও “অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১২” বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাধে সর্ম্পকটা আরো গভীর হয়। এ সময় কক্সবাজারে দেশের প্রথম অনলাইনপ্রেসক্লাব গঠন করে বনপা’র তৎকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক আকতার চৌধুরী সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
বনপা’র গঠনতন্ত্রে একটি নিউজ পোর্টাল থেকে যেহেতু ১জন সদস্য হওয়ার সুযোগ আছে। সেহেতু অনলাইনে কর্মরত সাংবাদিকদের জাতীয় পর্যায়ে কোন সংগঠন না থাকায় অনেকেই অনলাইন প্রেসক্লাব গঠনেরতাগিদ দেন। বিষয়টি নিয়ে আমি ভাবতে শুরু করি। প্রথমেই আলোচনা করি সহকর্মী অধ্যাপক আকতার চৌধুরীর সাথে ।
জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাব গঠনের কথা জানাতেই অধ্যাপক আকতার চৌধুরী আমাকে উৎসাহিত করলেন । তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলাপ করে একটি তারিখ নির্ধারণ করে ঢাকায় বসার কথাবললেন। আমি বনপা’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান হেলাল, সহ-সভাপতি মুহিত চৌধুরী,সুভাষ সাহা, নির্মল বড়–য়া মিলন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এম, আলী হোসেন,যুগ্ম সা. সম্পাদকইঞ্জি. রোকমুনুর জামান রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আসাদ,প্রচার সম্পাদক সোহেল রেজাসহ বনপা’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ’র সাথে আলাপ করে ২০১৪ সালের ৬ জুন জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবগঠনের জন্য ঢাকাতে বসার আহ্বান জানাই । সিদ্ধান্ত হয় ওই দিন প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার স্যারের ১৮৮ আরামবাগের আনন্দ কম্পিউটার্স এর অফিসে বসেই গঠন করা হবে জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাব।যথারীতি উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দ । স্যার আমাদের তাঁর স্বভাব সুলভ সহাস্যে বসতে দিয়ে জানতে চাইলেন আমরা কেন তাঁর অফিসে সমবেত হলাম। অনলাইন সাংবাদিকদের জন্য জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবগঠনের প্রস্তাব করায় তিনি বললেন সুন্দর আইডিয়া। আমি তোমাদের সাথে একমত । আমি মনে করি এটি এখন সময়ের দাবি। তিনি পরামর্শ দিলেন প্রথমে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করারজন্য। এর মধ্যে একজন আহ্বায়ক ও একজন সদস্য সচিব থাকবে। স্যারের এ প্রস্তাবে সবাই একমত পোষণ করে আমার নাম সর্ব সম্মতিক্রমে সদস্য সচিব হিসেবে ঘোষণা করা হলো । অধ্যাপক আকতার চৌধুরীএবং এম,আলী হোসেন যৌথ ভাবে আহ্বায়ক হিসেবে স্যারের নাম প্রস্তাব করলে উপস্থিত সবাই তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সমর্থন দিলেন । স্যার প্রথমে নিজের ব্যস্ততার কথা বলে অপারগতা প্রকাশ করলেন। কিন্তুআমরা সবাই নাছোড় বান্দা । অবশেষে তিনি রাজি হলেন । প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার স্যারের হাতেই সূচনা হলো “জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের”। তিনি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভেবে তৈরী করলেন “জাতীয়অনলাইন প্রেসক্লাবের” একটি সুন্দর লগো । লগোটি আজ ছড়িয়ে পড়েছে জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিটি জেলা ,উপজেলায় শাখায়। এটি আজ বাস্তব ইতিহাস। এ জন্য আমরা স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ।
প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার আজ মন্ত্রী । উপযুক্ত মন্ত্রণালয়েই দায়িত্ব দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা । আমরা বনপা ও জাতীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সকল সদস্য দোয়া করি তিনি যেন জননেত্রীরআস্তাভাজন হয়ে নিজের মেধা ও মননশীলতা দিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারেন
লেখক :
শামসুল আলম স্বপন
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
বনপা
মোবা : ০১৭১৬৯৫৪৯১৯
পাঠকের মতামত