মিয়ানমারে গত বছরের ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের আড়াই মাসের মাথায় গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যে সরকার (এনইউজি)। জান্তা বাহিনী কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অবৈধ ঘোষিত এমপি ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয় এনইউজি। প্ল্যাটফর্মটি অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির পুরোনো কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাঁরা যৌথ প্রচেষ্টায় এরই মধ্যে মিয়ানমারের প্রায় ৫৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘স্পেশাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমারের’ সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মিয়ানমারের ৫ শতাংশের কম অঞ্চলে জান্তা সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অন্যদিকে এনইউজি ও তার মিত্ররা নিয়ন্ত্রণ করছে দেশটির প্রায় ৫৩ শতাংশ অঞ্চল। দেশের বাকি অঞ্চলগুলোতে কোনো পক্ষেরই কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নেই।
গত মাসের শুরুর দিকে এক বক্তৃতায় এনইউজি–এর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দুয়া লাশি লাও প্রায় একই দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এনইউজি ও জান্তা বিরোধী জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলো (ইএও) মিলে আমরা মিয়ানমারের অর্ধেকের বেশি অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। প্রশাসনে আধিপত্য মজবুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সামরিক সক্ষমতা, অভিযানের সক্ষমতাও বাড়ছে।’
নাগ গঠনের এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গঠিত হয় জান্তাবিরোধী গণ প্রতিরক্ষা বাহিনী বা পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রতিরক্ষা যুদ্ধের ঘোষণা দেয় পিডিএফ। বাহিনীটি গঠনের এক বছরের মধ্যে দেশটির অর্ধেকের বেশি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে এশিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে। এ অবস্থায় নাগকেই মিয়ানমারের বৈধ সরকারের স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
পাঠকের মতামত