অনলাইন ডেস্ক।। বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলে সাংবাদিক শুনলেই পাত্রীপক্ষ একধাপ পিছিয়ে যায়। আদরের মেয়েটিকে একটি নিশ্চিত জীবনের নিশ্চয়তা দেয়ার তাড়না থেকেই তাদের হয়তো এই পিছিয়ে যাওয়া। অনেক ক্ষেত্রে বলতেও শোনা যায়, সাংবাদিকতার পাশাপাশি ছেলে আর কী করে? অর্থাৎ অনেকেই মনে করেন, শুধু সাংবাদিকতা করে পেট চালানো মুশকিল, যেখানে নিজেরই ভরণপোষণ ঠিকভাবে হচ্ছে না, সেখানে স্ত্রীর দায়-দায়িত্ব কীভাবে নেবে!
চিত্র অনেকটাই পাল্টেছে। সম্মানজনক বেতন-ভাতার পাশাপাশি সাংবাদিক হিসেবে আলাদাভাবে সুপরিচিতি পাওয়ারও সম্ভাবনা তো রয়েছেই। পাত্রটি যদি একজন সৎ সাংবাদিক হয়ে থাকেন, তবে আপনার আদরের কন্যাটিকে তার হাতে তুলে দিতেই পারেন। এবং একজন সৎ মানুষের শ্বশুর-শাশুড়ি হিসেবে কিছুটা গর্বিতবোধ করতেই পারেন!
সাংবাদিকেরা ঘরের প্রতি খেয়াল রাখতে পারে না বলে একটি কমন অভিযোগ রয়েছে। একটু ভালো করে খেয়াল করলে বুঝবেন, এটি আসলে ঠিক নয়। কথায় আছে, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। তাই যিনি পুরো বিশ্বের খবরাখবরের সঙ্গে যুক্ত থেকে সবদিক সামলাচ্ছেন, নিজের ঘর সামলানো তার জন্য কঠিন কিছু নয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে সমাজের সব স্তরের মানুষের সঙ্গে। তাই আপনার যখন যাকে প্রয়োজন হয়, সাংবাদিক জামাইয়ের দ্বারস্থ হলেই তাকে পাওয়া যাবে নিশ্চিত। পাশাপাশি আপনি নিজের প্রয়োজনীয় কাজটিও করিয়ে নিতে পারবেন অনায়াসে।
হঠাৎ করেই বিমান, ট্রেন, বাস কিংবা লঞ্চের টিকিট দরকার? সাংবাদিক জামাই থাকলে এব্যাপারে আপনার চিন্তা না করলেও চলবে। নিজের পরিচিতি এবং বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে আপনার জামাইটি ঠিকই আপনার জন্য টিকিট ম্যানেজ করে ফেলবে।
তারকাদেরকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখেই আমরা তাদের ভক্ত হয়ে যাই। সেরকম অনেক সেলিব্রেটি সাংবাদিক থাকেন যাদের খবর পাঠ করার কৌশল কিংবা রিপোর্টিং দেখেই অনেকে ভক্ত বনে যান। সেদিক থেকে অনেক সাংবাদিকই তারকা হয়ে থাকেন। ভেবে দেখুন, একজন তারকা জামাই পাওয়া কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়!
সাংবাদিক হওয়ার কারণে নানা মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। যার কারণে তারা সহজেই মানুষের মন বুঝতে পারে। আর এই একই কারণে সাংবাদিক জামাইটি আপনার মেয়ের মন বুঝে তার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারবে। তাই মেয়ের সুখী একটি ভবিষ্যতের জন্য আপনি জামাই হিসেবে সাংবাদিক কাউকে বেছে নিতেই পারেন।