প্রকাশিত: ৩১/০৮/২০১৬ ৯:২০ পিএম
নিউজ ডেস্ক::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলো। আমি ছাত্রদের হাতে বই তুলে দিয়েছি। কারণ ছাত্রদের আসল কাজ লেখা-পড়া করা।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি ১৫ আগস্টের ঘটনা তারাই ঘটিয়েছিলো। এরপর থেকে শুরু হয় বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতি। এখন আমাদের একটা প্রজন্ম ইতিহাসের তেমন কিছু জানে না। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। তখন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনতে দেয়া হতো না। ৭ মার্চের ভাষণ বাজানোর কারণে সেসময় ছাত্রলীগ নেতা চুন্নু জীবন দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিরা বলেছিল কে বিচার করবে; তারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। তবে আমরা বিচার করেছি। এদিকে ৭৫-এর পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিলো। বাংলার মাটিতে তাদের প্রতিষ্ঠা করলো, তাদেরও বিচার আমরা করেছি- করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ সাল থেকে দেশে ১৯টি ক্যু হয়েছে। তখন (জিয়াউর রহমানের আমলে) স্বাধীনভাবে চলার কোনো সুযোগ ছিল না, কথা বলার কোনো সুযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধুর আমলে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী সাজাপ্রাপ্ত ছিল, ২২ হাজার মামলা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিলেন। গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা হলো। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, সেসময় বিবিসিতে ইন্টারভিউতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল খুনিরা। বলেছিল- কে আমাদের বিচার করবে, কারণ বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলেছি। তবে আমরা বিচার করেছি, আমরাই করেছি। মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনাকে ফিরিয়ে আনবো, বলেই বাংলাদেশে রাজনীতি শুরু করি। বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা করেছি, আমরাই করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেসময় ব্রিটিশ এমপিকে বাংলাদেশে আসতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। এতে কোনো সন্দেহ নেই তিনি জড়িত ছিলেন। বাংলার মাটিতে অন্যায়গুলোর বিচার করতে পেরেছি, রায় কার্যকর করেছি-করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, যদি সংকল্প দৃঢ় থাকে যেকোনো অর্জন সম্ভব। বঙ্গবন্ধু বলতেন, মহৎ অর্জনের জন্য মহৎ ত্যাগ দরকার। আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। বাঙালির জন্য যেকোনো ত্যাগে আমি সবসময় প্রস্তুত। এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে। তবে কখনওই বিজয়ের ইতিহাস ভুললে চলবে না। এতে আমাদের অস্তিত্বই থাকবে না। জাতির পিতা জীবন দিয়ে গেছেন, সেই আদর্শ নিয়ে আমাদের চলতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার মায়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বাবার কথা তো অনেক লিখা হয়, মায়ের কথা তো লিখা হয় না। তবে আমার মায়ের অবদান কিন্তু কম নয়। তিনি বাবার পাশে থেকে, অনেক কাজ করে গেছেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান। সভা পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...