মাগুরা: সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও বনানী বিনতে বশিরকে নিয়ে সংবাদ পত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাবুল আক্তারের কথিত প্রেমিকা বনানী।
এর আগে, একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বাবুল আক্তার ও বনানীকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
মঙ্গলবার মাগুরা প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ লিপিতে বনানী জানান, যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার সঙ্গে বস্তবতার কোনো মিল নাই। জীবনে কখনো বাবুল আক্তারের সঙ্গে দেখা হয়নি এবং আমার সাথে কখনো কোনোভাবে কথা হয়নি। যা আমার ব্যাবহৃত মোবাইর নম্বর অনুসন্ধান করলে পাওয়া যাবে।
তিনি জানান, আমার স্বামী পুলিশের এসআই পদে চাকরিতে ছিলেন। একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সে মারা যাবার পর আমি বাবার বাড়িতে থাকি।
আমার একমাত্র মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে অর্ণির নামে আমার স্বামী ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনেন। এই ফ্লাটের লোভে আমার ননদ জান্নাত আরা পারভীন রিনি আমার স্বামীর মৃত্যুর পর ঐ ফ্ল্যাট মেয়ের থেকে তার নামে লিখে দিতে বলে। আমি লিখে না দেয়ায় তারা আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে।
এক পর্যায়ে আমার স্বামীর মৃত্যুর ঘটনার জন্য পর আমার ফুফাত ভাই সাদিমুন ইসলাম মুনকে প্রধান আসামি করে আমাদের চারজনের বিরুদ্ধে কুপিয়ে ও বিষক্রিয়ায় হত্যা করা হয়েছে মর্মে একটি মামলা করে।
বনানী জানান, ঝিনাইদহ পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার তদন্ত করে আমার স্বামীর লাশ দাফনের ২৮ দিন পর ১২ ফেব্রুয়ারী ঝিনাইদহ ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্তিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের মাধ্যমে ও মহাখালী থেকে ভিসেরা রিপোর্টের প্রতিবেদনে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বনানী দাবি করেন, বাবুল আক্তারের সঙ্গে যদি তার সম্পর্ক থাকতো তাহলে সে মামলায় আমার ফুফাতো ভাইয়ের নাম কেন দিলেন? যার প্রমাণপত্র তার নিকট রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, আকরামের সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য এখন তিনি বাবুল আক্তারকে জাড়িয়ে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করছেন যা আমার সম্মানহানিকর বলে আমি মনে করি।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার একমাত্র সন্তানের ভবিষৎতের চিন্তা করে বর্তমানে মাগুরার এমআর রোড়স্থ রবি অফিসে চাকরিরত আছি। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আমার ও আমার স্বজনের সম্মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
সু ত্র,Rtnn