আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সামরিক অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে শত শত রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছেন।
এ অবস্থায় সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের বিজিবি সদস্যরা। এরই মধ্যে মিয়ানমার সীমান্তে অতিরিক্ত তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, গত এক মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানে নিহত হয়েছে অন্তত ১৩০ জন। রোহিঙ্গা মুসলমানদের এসব হত্যার খবরে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বেগ সত্ত্বেও নির্বিকার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও, কয়েকশো ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ সেখানকার মানবাধিকার কর্মীদের। যদিও, এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার সরকার। গত মঙ্গলবারও সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েকজনের মৃত্যু হয় বলে জানায় গণমাধ্যম। নিহতদের সবাই অস্ত্রধারী বিদ্রোহী বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
এলাকাটিতে কোনো বিদেশি সাংবাদিকের প্রবেশাধিকার না থাকায় এ নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে বেগ পেতে হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এদিকে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নের হাত থেকে বাঁচতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে শত শত রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে। এ অবস্থায় সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের বিজিবি সদস্যরা।
রাখাইন রাজ্যে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করে, যাদেরকে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে উল্লেখ করে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি মিয়ানমার সরকার।
২০১২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত দাঙ্গায় শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত হন। এরপর চলতি বছরের গত ৯ই অক্টোবর নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীদের হামলার পর সেনাবাহিনী সেখানে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ হিসেবে ব্যাপক অভিযান শুরু করে