ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুনের প্রথম সপ্তাহে দ্বিপাক্ষিক সফরে সৌদি আরব যাচ্ছেন। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী আগামী ৪ থেকে ৬ জুন সৌদি আরব সফর করবেন। ৫ জুন জেদ্দায় সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। সৌদি সরকার ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে।
এবারের সফরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হচ্ছে সৌদির শ্রমবাজার সম্পূর্ণ উন্মুক্ত, বিনিয়োগ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে অন্যান্য সহযোগিতা। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ও উপ-যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
গত বছর বাদশাহ সালমান শেখ হাসিনাকে সৌদি সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। ঢাকা ও রিয়াদের কর্মকর্তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি চূড়ান্ত করছেন।
শীর্ষ স্থানীয় সৌদি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেবেন বলে জানা গেছে।
২০০৯ সালে তিনি দ্বিপক্ষীয় সফরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন।
গত কয়েক বছরে ঢাকা ও রিয়াদের সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ ও শক্তিশালী হয়েছে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়েও সফর হয়েছে।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে বর্তমান সরকার অব্যাহত চাপের মুখে থাকলেও মুসলিম বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশ সৌদি আরব বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নীরব থাকার নীতি গ্রহণ করেছে।
অন্যদিকে ইরানের বিপক্ষে সৌদির আরবের কৌশলগত সামরিক জোটে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে বাংলাদেশ-সৌদি আরব অংশীদারিত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সৌদি আরবে প্রায় ২৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছে। সৌদি শ্রম বাজারে আধা দক্ষ ও দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ সৌদিতে আরও বেশি হারে জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায়।