নিউজ ডেস্ক
জুমা’র দিনের সীমাহীন ফজিলত ও সওয়াব রয়েছে। নবী করিম (সা.) বিভিন্ন হাদিসে এসব ফজিলতের কথা তুলে ধরেছেন।
বোখারি শরিফের হাদিসে রয়েছে রাসূল (সা.) বলেছেন, কোনো পুরুষ যখন জুমা’র দিন গোসল করে, সাধ্যমতো পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে বা ঘরে যে সুগন্ধি আছে তা ব্যবহার করে, তারপর (জুমা’র জন্য) বের হয় এবং (বসার জন্য) দুই জনকে আলাদা করে না, এরপর সাধ্যমত নামাজ পড়ে এবং ইমাম যখন কথা বলে তখন চুপ থাকে, তাহলে অন্য জুমা পর্যন্ত তার (গুনাহ) মাফ করা হয়।
হাদিসের ভিত্তিতে ফেকাহবিদরা এসব আমলকে নির্দিষ্ট করেছেন। যেমন…
১. জুমা’র দিন গোসল করা। যাদের ওপর জুমা ফরজ তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসূল (সা) ওয়াজিব করেছেন।
২. পরিচ্ছন্নতার অংশহিসেবে সেদিন নখ ও চুলকাটা একটি ভালো কাজ।
৩. জুমা’র নামাজের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারি)
৪. মিস্ওয়াক করা। (ইবনে মাজাহ)
৫. গায়ে তেল ব্যবহার করা। (বুখারি)
৬. উত্তম পোশাক পরিধান করে জুমা আদায় করা। (ইবনে মাজাহ)
৭. মুসল্লিদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিজি)
৮. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া। (আবু দাউদ)
৯. জুমা’র দিন ও রাতে বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ। (আবু দাউদ: ১০৪৭)
১০. এ দিন বেশি বেশি দোয়া করা। (বুখারি)
১১. মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারি)
১২. জুমা’র দিন সূরা কাহাফ পড়া। পাঠকারীর জন্য আল্লাহ তায়ালা দুই জুমা’র মধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দেন।