ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এবং এবতেদায়ি পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি এ বছর প্রথমবারের মতো অষ্টম শ্রেণির সমাপনী জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা এবং মাদ্রাসার সমমানের (জেডিসি) পরীক্ষা গ্রহণ করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে নানামুখী প্রস্তুতি। প্রাথমিকের পরীক্ষা গ্রহণের অভিজ্ঞতার আলোকে সুশৃঙ্খলভাবে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান।
চূড়ান্ত সূচি অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে জেএসসি ও জেডিসি এবং ২০ নভেম্বর থেকে পিইসি ও এবতেদায়ি পরীক্ষা শুরু হবে।
পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষা চলাকালীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। ফটোকপির দোকানও বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে কোচিং সেন্টারগুলোয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকবে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শেষ করার জন্য গঠন করা হবে ভ্রাম্যমাণ টিম। পরীক্ষার হলে কোমলমতি শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন ডাক্তার/স্বাস্থ্য সহকারী উপস্থিত থাকতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষা তদারকির দায়িত্ব থাকলেও আগের মতো শিক্ষাবোর্ডগুলোর অধীনে অনুষ্ঠিত হবে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, গতানুগতিক নিয়মে বোর্ডের কাজ এগিয়ে চলছে। মন্ত্রণালয় পরিবর্তন হলেও কাজের তো পরিবর্তন নেই। বোর্ড যথারীতি নিয়মে পরীক্ষা নেবে।
বরাবরের মতোই প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিজি প্রেসে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হবে। এ জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) কর্মরত সার্ভার প্রোভাইডারকে সতর্ক থাকতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানো বা ফেসবুকে প্রশ্ন সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত