উখিয়া নিউজ ডটকম ::
কক্সবাজারে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত যা কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা ১২০ কি.মি. বিস্তৃত। কক্সবাজা্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র। বাংলাদেশের ভিতরে কোথাও ভ্রমনের চিন্তা করলে সবার প্রথমে অবশ্যই কক্সবাজারের নাম আসবে। শুধু মাত্র দেশীয় পর্যটকই না, দেশের বাইরে থেকেও প্রতিবছর প্রচুর বিদেশী পর্যটক এই সমুদ্র সৈকত দেখতে আসেন। বিস্তীর্ণ বেলাভূমি, সারি সারি ঝাউবন, সৈকতে আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউ, সমুদ্রে চলা মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার, সকালবেলা পাহাড় ভেদ করে রক্তবর্ণের থালার মতো সূর্য, সন্ধ্যায় দিগন্তে সূর্যাস্তের মায়াবী আলো এসব সৌন্দর্যের পসরা নিয়েই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে রচনা করেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার।
কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণে-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং চট্টগ্রাম প্রশাসনিক বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। এটি ২০০ ৩০´´ থেকে ২১০ ৫৬´´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১০ ২৩´´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর আয়তন প্রায় ২৪৯১.৮৬ বর্গ কি.মি.। এর উত্তরে চট্টগ্রাম, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বান্দরবান পার্বত্য জেলা ও মায়ানমার, পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর বিস্তৃত। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। কক্সবাজার জেলা চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৫২ কিঃমিঃ দক্ষিণে অবস্হিত এবং ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪১৪ কিঃমিঃ। রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক এবং বিমানপথে কক্সবাজার যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার অবধি রেললাইন স্থাপনের প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। প্রকল্প সম্পন্ন হলে ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনে কক্সবাজার যাওয়া যাবে।
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানঃ কক্সবাজার বিচের মেরিন ড্রাইভ ধরে যত দূরে যাবেন পুরো জায়গাই আপনাকে মুগ্ধ করবে। একপাশে পাহাড় আর একপাশে সমুদ্র দেখে আপনি হবেন বিমোহিত। কক্সবাজার গেলে যেসব দর্শনীয় স্থান আপনাকে হাতছানি দিবে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে-
লাবনী পয়েন্ট ও কলাতলী বিচঃকক্সবাজার শহর থেকে নৈকট্যের কারণে লাবণী পয়েন্ট এবং কলাতলী বিচ পর্যটকদের কাছে প্রধান সমুদ্র সৈকত বলে বিবেচনা করা হয়। লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী বিচ হেটে যেতে ১৫ মিনিট লাগবে। লাবণী পয়েন্টে পাবেন ঝিনুক মার্কেট এছাড়াও ছোট বড় অনেক দোকান যেখানে নানারকম জিনিসের পসরা সাজিয়েছে দোকানীরা যা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। এছাড়া কলাতলী বিচে আছে সমুদ্রের ধার ঘেষে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট যেখানে খেতে খেতে মনোরম সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন।
হিমছড়িঃ হিমছড়ি কক্সবাজারের ১৮ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। পাহাড় আর অপরুপ ঝর্ণা এখানকার প্রধান আকর্ষণ। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার পথে বামদিকে সবুজঘেরা পাহাড় আর ডানদিকে সমুদ্রের নীল জলরাশি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি করে। বর্ষার সময়ে হিমছড়ির ঝর্ণাকে অনেক বেশি জীবন্ত ও প্রাণবন্ত বলে মনে হয়। হিমছড়িতে পাহাড়ের চূড়ায় একটি রিসোর্ট আছে যেখান থেকে বিশাল সমুদ্রের দৃশ্য এক নজরে দেখা যায়।
ইনানী বিচঃ দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন আকর্ষণীয় এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতমইনানী সমুদ্র সৈকত যা কক্সবাজার থেকে ৩৫ কি.মি. এবং হিমছড়ি থেকে ১৭ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। অভাবনীয় সৌন্দর্যে ভরপুর এই সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজার থেকে মাত্র আধঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। পরিষ্কার পানির জন্য জায়গাটি পর্যটকদের কাছে সমুদ্রস্নানের জন্য উৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত। ইনানী বিচে ভাটার সময় সমুদ্রের মাঝে অনেক প্রবাল পাথর দেখতে পাবেন।
ডুলাহাজরা সাফারী পার্কঃ কক্সবাজার শহর থেকে ৩৫ কি.মি. উত্তরে এই সাফারী পার্কের অবস্থান। এটি বাংলাদেশের প্রথম সাফারী পার্ক। বিলুপ্তপ্রায় ও বিরল প্রজাতি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বংশবৃদ্ধিসহ মানুষের চিত্ত বিনোদন, গবেষণা ইত্যাদি পরিচালনার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন চকরিয়া উপজেলা এলাকায় স্থাপিত “ডুলাহাজারা সাফারী পার্ক” পর্যটকদের আকর্ষনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে রয়েছে কয়েক হাজার পশু-পাখী।
সেন্টমার্টিন ও ছেড়া দ্বীপঃ কক্সবাজার জেলা শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগর বক্ষের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ৭.৩ কি.মি দীর্ঘ কিছুটা উওর-দক্ষিণ বিস্তৃত। দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কি.মি. এবং লোক সংখ্যে প্রায় ৮ হাজার। কক্সবাজার থেকে লোকাল বাস বা জীপে করে টেকনাফ গিয়ে সেখান থেকে সীট্রাক বা ট্রলারে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। টেকনাফ যেতে সময় লাগবে এক থেকে সোয়া এক ঘন্টা এবং সেখান থেকে সেন্টমার্টিন যেতে সময় লাগবে প্রায় দু ঘন্টা। সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে ২০ মিনিটে ছেড়া দ্বীপ যাওয়া যায়। ছেড়া দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত নয়ানাভিরাম দ্বীপ।
মহেশখালীঃ কক্সবাজার থেকে মহেশখালীর দূরত্ব ১২ কি.মি.। এই উপজেলার আয়তন ৩৬২.১৮ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে চকোরিয়া উপজেলা, দক্ষিণে কক্সবাজার সদর উপজেলা ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে চকোরিয়া উপজেলা ও কক্সবাজার সদর উপজেলা, পশ্চিমে কুতুবদিয়া উপজেলা এবং বঙ্গোপসাগর।বাংলাদেশের অন্যতম শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা মহেশখালী। এখানে আছে জলাভুমি আর প্যারাবন এবং প্রচুর অতিথি পাখি। এছাড়াও এখানে রয়েছে আদিনাথ মন্দির। মহেশখালী জেটিটি দেখতে খুবই সুন্দর।
সোনাদিয়া দ্বীপঃ সোনাদিয়া দ্বীপ যেন ক্যানভাসে আঁকা ছবি। অপরূপ সৌন্দর্যের আধার এ দ্বীপ কক্সবাজার শহর থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমের দূরে সাগর গর্ভে অবস্থিত। দ্বিপের আয়তন লম্বায় ৭ কিমি, প্রস্থ ২.৫ কিমি। এই দ্বিপের তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, সাগর লতা-পাতা ঢাকা বালুতীর, কেয়া- নিশিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন। আরো আছে বিচিত্র প্রজাতির জলচর পাখি। এই দ্বিপে আছে অজস্র লাল কাঁকড়ার ছড়াছড়ি। আছে গাংচিলের ভেসে বেড়ানো।
এছাড়া অন্যান্য যেসব দর্শনীয় স্থান কক্সবাজার গেলে দেখতে পাবেন তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে – এয়ারপোর্ট এলাকা, বার্মিজ মার্কেট, শুটকি মার্কেট, হিলটপ সার্কিট হাউস ও এর পাশের রাডার ষ্টেশন, লাইট হাউস, আগ্গা মেধা বৌদ্ধ ক্যাং ও মাহাসিংদোগী বৌদ্ধ ক্যাং, মাথিনের কূপ, গোলাপ চাষ প্রকল্প, বদর মোকাম মসজিদ, চিংড়ী প্রসেসিং জোন, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, লবণ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা, রামকোট তীর্থধাম, কানা রাজার সুড়ংগ, রামুর বৌদ্ধ মন্দির, লামার পাড়া বৌদ্ধ বিহার, কুতুবদিয়া দ্বীপের বাতিঘর, শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ বিচ ইত্যাদি। ঘুরাঘুরি করার জন্য জীপ বা চাদের গাড়ী ভাড়া করে নিতে পারেন পারেন অথবা দূরে যাওয়ার ক্ষেত্রে লোকাল বাস ব্যবহার করতে পারেন। মহেশখালীসহ অন্যান্য দ্বীপে যেতে পারেন স্পীডবোট বা ট্রলারে করে। কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানে ঘোরার পাশাপাশি বিচে রয়েছে স্পীডবোট, ওয়াটার বাইক, মোটর বাইক, সার্ফিং সহ নানা বিনোদনের ব্যবস্থা।
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বাসে বা বিমানে করে যেতে পারেন। তাছাড়া ট্রেনে করে চিটাগাং গিয়ে সেখান থেকে বাসে করেও কক্সবাজার যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে কক্সবাজার বাসে যেতে সময় লাগবে প্রায় ১১/১২ ঘন্টা, বিমানে প্রায় ৫৫/৬০ মিনিট। এসি/ননএসি দুই ধরনের বাস আছে। বাস ভেদে এসি/ননএসি ভাড়া পরবে ৮০০-২৫০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায় দূরপাল্লার নামী-দামী সব ধরনের বাস। উল্লেখযোগ্য হলো গ্রীন লাইন পরিবহন (০২-৮৩১৫৩৮০, ০১৭৩০০৬০০০৪, ০১৭৩০০৬০০৭১), সোহাগ পরিবহন (০২-৯৩১১১৭৭), টিআর ট্রাভেলস (০১৯১১৮৬৩৬৭৩, ০১৯১০-৭৬০০০৪, ০১১৯১-৮৬৩৬৭৪), দেশ ট্রাভেলস (০১৭২৭৫৪৫৪৬০, ০১৭৪৬৪৭৪৭৮০), শ্যামলী (০২-৯০০৩৩১, ০২-৮০৩৪২৭৫, ০১৭১৬-৯৪২১৫৪), হানিফ (০১৭১৩৪০২৬৭১, ০১৭১৩৪০২৬৭০), সৌদিয়া (০১৯১৯৬৫৪৯৩৫, ০১৯১৯৬৫৪৮৫৮), ঈগল (০২-৯০০৬৭০০, ০২-৯৩৪৬৩৯১), এস আলম (০১৮১৩-৩২৯৩৯৪, ০২-৯৩৩১৮৬৮), সিল্ক লাইন (০১৭১৪-০৮৭৫৬৩,০২-৭১০২৪৬১), সেন্টমার্টিন (০১৭১১৩২১১৪৩, ০১৭১১৬৬৬১০৯)ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য বিমান সংস্থা হলো- বাংলাদেশ বিমান (০২-৮৯০১৬০০, ০২-৮৯০১৭৩০-৪৪), রিজেন্ট এয়ার ওয়েজ (০২-৮৯৫৩০০৩), নভো এয়ার (১৩৬০৩, ০২-৯৮৭১৮৯১-২, ০১৭৫৫৬৫৬৬৬০-১), ইউএস বাংলা (০১৭৭৭৭৭৭৭৮৮, ০১৭৭৭৭৭৭৮৯৯, ০১৭৭৭৭৭৭৯০০), ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (০৯৬০৬৪৪৫৫৬৬, এক্সট-৫৪২-৪৮, ০২-৮৯৩২৩৩৮, ০২-৮৯৩১৭১২)। রাউন্ড ট্রিপ ইকোনমি ক্লাসে ভাড়া পরবে প্রায় ১০০০০-১২৫০০ টাকা।
কোথায় থাকবেনঃ কক্সবাজারে থাকার জন্য ৫ তাঁরকা সমমানের অনেক হোটেল ও রিসোর্ট আছে। এছাড়াও ৪ তাঁরকা, ৩ তাঁরকা এবং আরো নিম্নমানের হোটেলও আছে। তবে বিচের আশেপাশের বেশীর ভাগ হোটেলই ভাল মানের হোটেল। বেশীর ভাগ হোটেল ও রিসোর্ট কলাতলী বিচ ও লাবনী পয়েন্টের আশেপাশে অবস্থিত। ইনানি বিচের আশেপাশে থাকার জন্যও বেশ কিছু হোটেল গড়ে উঠেছে। এছাড়াও এর বাইরে আছে ইকো রিসোর্ট। এসব হোটেল ও রিসোর্টে পিক টাইম ও অফ-পিক টাইম অনুযায়ী রুমের ভড়া ভিন্ন হয়। সাধারনত সেপ্টেম্বর-এপ্রিল পিক টাইম এবং মে-আগস্ট অফ-পিক টাইম হিসাবে ধরা হয়। অফ-পিক টাইমে রুম ভাড়া হোটেল ভেদে ২০-৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেয়া হয়। তবে বিশেষ উপলক্ষ যেমন ঈদ, পুজা ইত্যাদি সময় এই ডিসকাউন্ট কার্যকর থাকেনা। পিক টাইমে হোটেল ভেদে সর্বনিম্ন রুমের ভাড়া ২০০০-৮০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বিচ থেকে দূরে শহরের মধ্যে বেশ কিছু কমদামী হোটেল পাওয়া যাবে তবে তার মান ভাল হবে না।
কক্সবাজারে থাকার জন্য উল্লেখযোগ্য হোটেলগুলো হচ্ছে – সায়মন বিচ রিসোর্ট (০৯৬১০৭৭৭৮৮৮, ০৩৪১-৫১৩৫০, ০১৭৫৫৬৯১৯১৭), ওশান প্যারাডাইস হোটেল এন্ড রিসোর্ট (০১৯৩৮৮৪৬৭৬৩-৭, ০৩৪১-৫২৩৭০-৯), লং বিচ হোটেল (০১৭৫৫৬৬০০৫১, ০৩৪১-৫১৮৪৩-৬), সীগাল হোটেল লিমিটেড (০১৭৬৬৬৬৬৫৩০, ০৩৪১-৬২৪৮০-৯০), হোটেল দ্য কক্স টুডে (০১৭৫৫৫৯৮৪৪৯, ০১৭৫৫৫৯৮৪৫০, ০৩৪১-৫২৪১০-২২), হোয়াইট অর্কিড (০১৮২৫৯২৩৯৮৯), হোটেল সী ওয়ার্ল্ড (০১৯৩৮৮১৭৫০১-১২, ০৩৪১-৫২২২৬, ০৩৪১-৫১৬২৫), হোটেল সী ক্রাউন (০১৮১৭০৮৯৪২০,০৩৪১-৬৪৭৯৫, ০৩৪১-৬৪৪৭৪), এ্যালবাট্রস রিসোর্ট (০১৮১৮৫৪০১৭৭, ০১৮১৬০৩৩৪৪৫, ০১৮১৮৫৯৬১৭৩, ০৩৪১-৬৪৬৮৪), হোটেল রয়াল রিগ্যাল পেলেস (০১৯৭৭৯৩৬৬২৩), হোটেল প্রাইম পার্ক (০১৭৭৫৬০৯৯১৫, ০১৮৪২৬০৯৯১৫, ০৩৪১-৬২৩১১), হোটেল ইউনি রিসোর্ট (০১৭১৩১৬০১৬৭), হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল (০১৭১১৩৪১১৬৪), পর্যটন হোটেল শৈবাল (০৩৪১-৬৩২৭৪),পর্যটন মোটেল প্রবাল (০৩৪১-৬৩২১১), পর্যটন হোটেল লাবনী (০১৯১৩৯৩২০৮২), হোটেল সায়মন (০৩৪১-৬৩২৩৫, ০৩৪১-৬৩২৩১) ইত্যাদি।
এছাড়া ইনানি বিচের আশেপাশের উল্লেখযোগ্য হোটেল হচ্ছে – রয়াল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট (৮০০৩৫৮০৮৪৬, ০৩৪১-৫২৬৬৬-৮০), ইনানি রয়াল রিসোর্ট (০১৭৭৭৭৯০১৭০), লা বেল্লা রিসোর্ট (০১৮২৫৯২৩৯৮৯)ইত্যাদি।
ইকো রিসোর্ট – মারমেইড ইকো রিসোর্ট (প্যাচার দ্বীপ, ০১৮৪১৪৬৪৬৪-৯,) সাম্পান ইকো রিসোর্ট (০১৯৭৪৭২৬৭২৬)ইত্যাদি।
কোথায় খাবেনঃ সাধারনত প্রত্যেক হোটেলের নিজস্ব রেস্টুরেন্ট আছে তবে সেখানে খাবারের দাম একটু বেশী হবে। বেশীর ভাগ হোটেলে সকালের নাস্তা কমপ্লিমেন্টারী থাকে (রুম ভাড়ার সাথে যুক্ত)। যদি দুপুরে ও রাতে বাইরে খেতে চান তবে কক্সবাজারে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন। বেশীর ভাগ রেস্টুরেন্ট কলাতলী রোডে অবস্থিত। উল্লেখযোগ্য রেস্টুরেন্টগুলো হচ্ছে – পৌশী রেস্টুরেন্ট, ঝাউবন রেস্টুরেন্ট, লাইভ ফিস রেস্টুরেন্ট, নিরিবিলি অর্কিড ক্লাব এন্ড রেস্টুরেন্ট, মারমেইড ক্যাফে, ডিভাইন সী স্টোন ক্যাফে, কয়লা, স্টোন ফরেস্ট, তারাঙ্গা রেস্টুরেন্ট, কাশবন রেস্টুরেন্ট, পানকৌড়ী রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি। এসব হোটেল ভাত, বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, মাংস, ভর্তা-ভাজি, শুটকি মাছ থেকে শুরু করে সব ধরনের খাবার পাবেন। তবে খাবার অর্ডার দেয়ার আগে দাম জেনে নিবেন। কলাতলী বিচে সমুদ্রের একেবারে সাথে বেশ কিছু রেস্তোরা আছে সেখানে বিকালের নাস্তা খাবার পাশাপাশি সমুদ্রের সৌন্দর্য ও সুর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন।
সতর্কতাঃ শুধুমাত্র একটু সতর্কতার অভাবে প্রতি বছর অনেক পর্যটক সমুদ্রের পানিতে গোসল করতে গিয়ে প্রানহানির শিকার হচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী বিচ পর্যন্ত গুপ্ত খাল রয়েছে এবং বেশীর ভাগ পর্যটক ভাটার সময় নেমে এই গুপ্ত খালে পরে প্রান হারান। তাই ভাটার সময় সৈকতে গোসল করা পরিহার করুন। ভাটা ও জোয়ারের সময় অনুযায়ী সৈকতে লাল ও সবুজ পতাকা উত্তোলন করা হয়। যখন সবুজ পতাকা উত্তোলন করা হবে তখন গোসল করা নিরাপদ। গোসলের সময় বিচের বেশী গভীরে না যাওয়াই ভাল। প্রয়োজনে লাইফ জ্যাকেট সাথে রাখতে পারেন। ইনানি বিচে প্রবালের উপর হাটার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে নতুবা পা কেটে যেতে পারে। বিচের বালু বা পানিতে কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বোতল, সিগারেটের ফিল্টার ইত্যাদি ফেলা থেকে বিরত থাকুন। এর সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। যেহেতু সমুদ্র দেখতে যাচ্ছেন তাই যাবার পূর্বে আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য জেনে নিন।
পাঠকের মতামত