বিশেষ প্রতিবেদক:
জেলা জুড়ে এখন সবচেয়ে আলোচনা বিষয় হলো কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফ আসনে নির্বাচনী মাঠে কক্সবাজারের বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ। গত দুই তিনদিন ধরে জেলার সর্বত্র সিনিয়র সাংবাদিককের প্রার্থী হওয়াকে চমক হিসেব দেখছেন। এই আসনে বর্তমান বিতর্কিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিকল্প হিসেবে তোফায়েল আহমদকে যৌগ্য মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনের অভিজ্ঞতা না থাকলেও ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই বুদ্ধিজীবির অভিজ্ঞতা ও ক্লিন ইমেজ কাজে লাগিয়ে নির্বাচনের মাঠে মহারণের সৃষ্ঠি করতে পারবেন বলে আশা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। উখিয়া – টেকনাফের নৌকার মাঝি নিয়ে অনেকদিন ধরে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। চলছে নানা সমিকরণও। নানা কারনে বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাচ্ছেনা খবরে যোগ্য নতুন প্রার্থীর খুজছিলো আওয়ামীলীগ। এতোদিন বদির বিকল্প প্রাথী হিসেবে ধরা হচ্ছিলো উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী ও রাজা শাহ আলম চৌধুরীকে।
হামিদুল হক চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। প্রায় চিকীৎসার জন্য তিনি ভারতে থাকেন। আর দুইবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও একবার উপজেলা নির্বাচন করে জয়লাভের রেকর্ড শুন্য। কোন নির্বাচনে জেতার রেকর্ড নেই হামিদুল হক চৌধুরীর। তাই এই আসনে তার নৌকা পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
আওয়ামীলীগের আরেক প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রাজা শাহ আলম চৌধুরী। এই আওয়ামীলীগ নেতার প্রচুর ধন সম্পদের মালিক। তার টাকার পয়সার অভাব নেই। তবে নিজ এলাকায় সাধারন জনগনের কাছে তেমন গ্রহনযোগ্যতা নেই রাজা শাহ আলমের।
সম্প্রতি আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের’র কক্সবাজার সফরে আসার পর উখিয়া টেকনাফে আওয়ামীলীগের প্রার্থী তালিকায় যুক্ত হয়েছে সাংবাদিক- বুদ্ধিজীবি তোফায়েল আহমেদের নাম। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান তোফায়েল আহমেদের নাম আলোচনায় আসার পর পাল্টে গেছে সব হিসেব নিকেশ। আশার আলো জ্বলছে উখিয়া টেকনাফের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে। উখিয়ার হলদিয়া পালং এর মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক পেটান আলী সওদাগরের সন্তান কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক সৎ ও সাহসী হিসেবে সবার কাছে প্রিয় এবং আস্থাভাজন তোফায়েল আহমদে আস্থা রাখতে শুরু করেছে সিমান্ত এলাকার জনগন। তোফায়েল আহমদের নৌকার মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে সবাই আশাবাদি। জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের যুক্তি হচ্ছে তিনি আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। তবে এমন প্রাথমিক বিশেষণ নিয়ে কি কেউ আওয়ামীলীগের মতো দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হতে পারেন ? অবশ্যই না। অবিসংবাদিত সাংবাদিক তোফায়েল আহমদকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় নিয়ে আসছে মূলত দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সফর শেষে কক্সবাজার বিমান বন্দরে তার সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের কিছু দৃশ্যপটকে নিয়ে। কি ছিল অন্তরঙ্গ সে দৃশ্যপটে ?
উপস্থিত সাংবাদিকদের বর্ণনা মতে, কক্সবাজার বিমান বন্দরে বিদায় মুহুর্তে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিক তোফায়েল আহমদকে কাছে ডেকে নিয়ে জড়িয়ে ধরে মিনিট কয়েক সময় একান্ত আলাপচারিতা করেন। এসময় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এড.সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ জেলা নেতৃবৃন্দ সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক ও সাংসদ আব্দুর রহমান বদি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এতেই ধরে নেয়া যায় শতভাগ সৎ ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে উখিয়া টেকনাফের নৌকার মাঝি হবেন তোফায়েল আহমেদ। উখিয়া-টেকনাফ আসনে সব বিতর্ক বাদ দিয়ে সৎ,নিষ্ঠাবান, সাহসী ও আদর্শবান কলম সৈনিক, কক্সবাজারের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি তোফায়েল আহমদকে নৌকার যোগ্য মাঝি। সীমান্তের এ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে সাংবাদিক তোফায়েল আহমদের নামে ওঠে আসলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবেনা।