বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত দেশের ‘দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২’ এর তথ্যানুযায়ী কক্সবাজার জেলায় দারিদ্র্যের হার ২৭.৮ শতাংশ।
জেলার নয় উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দরিদ্র জনসংখ্যার বাস চকরিয়াতে যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪৩.৩ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম ১০.৩ শতাংশ দারিদ্র্যের হার কক্সবাজার সদর উপজেলায়।
জেলার অন্যান্য উপজেলার মধ্যে দারিদ্র্যের হার – ঈদগাঁও তে ১১.৭ শতাংশ, টেকনাফে ২১.২ শতাংশ, পেকুয়ায় ২৫.৫ শতাংশ, উখিয়ায় ২৭.৪ শতাংশ, রামুতে ৩০.৩ শতাংশ, কুতুবদিয়ায় ৩১.৯ শতাংশ এবং মহেশখালীতে ৩২.৭ শতাংশ।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি), রাজধানীর
বিআইসিসি অডিটরিয়ামে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ও বিবিএসের যৌথ গবেষণায় প্রণীত প্রতিবেদনটির তথ্য বলছে, দেশের বিভাগগুলোর মধ্যে বরিশালে সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বসবাস। এই বিভাগের মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বাস।
অন্যদিকে দেশের সবচেয়ে কম দরিদ্র অর্থাৎ ১৫ দশমিক ২ শতাংশ মানুষের বসবাস চট্টগ্রাম বিভাগে। ঢাকায় দারিদ্র্যের হার ১ দশমিক ৮ শতাং বেড়ে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। তবে একই সময়ে দারিদ্রের হার কমেছে রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মো. মাহবুব হোসেন, সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিস সিমোন লসন পার্চমেন্ট, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ এবং এস. আমের আহমেদ, অ্যাক্টিং অপারেশনস ম্যানেজার ও প্রোগ্রাম লিডার, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (বাংলাদেশ ও ভুটান), ওয়ার্ল্ড ব্যাংক।
বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম, উপমহাপরিচালক, বিবিএস এবং বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২ রিপোর্ট বিষয়ক উপস্থাপনা প্রদান করেন মহিউদ্দিন আহমেদ, এমপিএইচ, ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা, দারিদ্র্য ও জীবন-জীবিকা পরিসংখ্যান (পিএলএস) সেল, বিবিএস।
অনুষ্ঠানে অতিথিগণ ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২’ কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বিবিএস কর্তৃক প্রণীত এই তথ্য-উপাত্ত সঠিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক অবদান রাখবে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, জাতিসংঘ ও উন্নয়ন সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, গবেষণায় বিবিএস ও এসআইডির কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধিগণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত