দেশ জুড়ে জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। ইতিমধ্যে সরকার সারা দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। কাংখিত এসব জেলা পরিষদের নির্বাচন ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা ধরণের আলোচনা। কে হবেন জেলা পরিষদ প্রশাসক, সদস্য কারা হবেন, দলীয় মনোনয়ন কে পাচ্ছেন। এসব বিষয় আলোচনার তুঙ্গে উঠেছে।
সুত্র মতে, জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কক্সবাজার জেলায় চলছে নানা রকম আলোচনা। কে হচ্ছেন জেলা পরিষদ প্রশাসক! কার হাতে জেলার চাবি! ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ জেলা থেকে কাকে মনোয়ন দিচ্ছেন। অন্য দল থেকে কে পাচ্ছেন মনোয়ন এ নিয়ে চলছে নানা কল্পনা-জল্পনা। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ থেকে প্রশাসক মনোনয়ন কে পাচ্ছেন এ নিয়ে চলছে বেশি আলোচনা।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের যেসব নেতা-কর্মী দলের গুরুত্বপূর্ণ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে রয়েছেন তারা এটি আশা করতেন পারেন না। আবার সকল প্রার্থীদের রাজনীতিক জীবনের কর্মকান্ড নিয়ে বিবেচনা করা হবে। এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নির্যাতিত, নিলোর্ভ, নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগি নেতাদের মূল্যায়ন করার ব্যাপারে খুব কঠোর মনোভাব পোষন করছেন। এতে মানব দরদী নেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার প্রদানের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, জেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ এটি, এতে যে কাউকে বসাতে চাই না শিক্ষিত-দক্ষ বুদ্ধিমান কর্মঠ ভোটারগন। অন্তত এবার নির্ভেজাল, যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করুক ভোটাররা তাই সর্ব সাধারণের তা একান্ত কামনা। কারণ এই পরিষদ প্রশাসক ও সদস্যদের মাধ্যমে জেলার উন্নয়ন কাজের অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে জ্ঞানিগুণী, বয়স্ক ও অভিজ্ঞ সংগঠক, রাজনীতিক ব্যক্তি দরকার। এতে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের পক্ষে থেকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রার্থী হওয়ার নাম ঘোষনা করেছেন। আবার অনেকের নাম পত্র-পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ না করলেও তাদের নিয়ে আলোচনা করলে ভোটাররা ও সাধারণ মানুষের মুখের মাধ্যমে একটি নাম চলে আসে তিনি হচ্ছেন কক্সবাজার জেলার রাজনীতি অঙ্গনের পরিচ্ছন্ন, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, জেলার প্রথম স্বশস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা কামাল হোসেন চৌধুরী।
এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন, কামাল হেসেন চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ট সহচর।
অপরদিকে, কামাল হোসেন চৌধুরীর ধর্ম, শিক্ষা, রাজনীতি, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সামাজিক ইতিহাসের খতিয়ান খতিয়ে জানা যায়, তিনি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্টাতা সভাপতি, কক্সবাজার সরকারী কলেজের প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, সাবেক বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, কক্সবাজার সদর আওয়ামীলীগের প্রতিষ্টাতা সভাপতি, প্রাক্তন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির প্রভাবশালী সদস্য, জেলা কৃষকলীগের প্রতিষ্টাতা আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান (সম্মেলনের সময় জামাত-শিবিরের হাতে নির্মম ভাবে আহত হন, মুর্মুর্ষ অবস্থায় সুদূর ভারতে গিয়ে সুফল চিকিৎসা করেন), জেলার প্রথম স্বশস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক, জেলা জয় বাংলা বাহিনী ৭১ এর প্রধান, সাহিত্যিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাহিত্যিকা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহিত্যিকা জামে মসজিদ, এতিমখানা ও হাফেজ খানা, সাহিত্যিকা লাইব্রেরী ও পাঠাগার, চাঁদেরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহিত্যিকা পল্লী এবং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, প্রাক্তন সিনিয়র সহ সভাপতি জেলা স্কাউটস এসোসিয়েশন, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আর্টস কাউন্সিল (বর্তমান শিল্প একাডেমী), কবরস্থান, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সরকারি ভাবে জেলার একবার শ্রেষ্ঠ সভাপতি ও দু’বার সেরা শিক্ষানুরাগী পুরষ্কারপ্রাপ্ত।
এ ছাড়াও তিনি ধর্ম, শিক্ষা, ক্রীড়া, সাহিত্য-সংস্কৃতি, রাজনীতিক ও সামাজিক ভাবে বিশেষ অবদান রাখেন। এখনো নিস্বার্থ ও উদার মনে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই জেলা পরিষদ নির্বাচনের এমন যোগ্য ব্যক্তিকে প্রশাসক পদে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন জেলা সর্বস্থরের জনগন ও ভোটারগন।