জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সেন্টমার্টিনের ১৪টি গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্বীপের অন্তত ১২টি বসতঘর।রবিবার (৬ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন সেন্টমার্টিনের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমদ।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তিনদিনে কমপক্ষে ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি ও স্থাপনা।
নুর আহমদ বলেন, দ্বীপের ৩, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম অংশ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম-দক্ষিণ অংশ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম অংশের গ্রামগুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। এতে গাছ ভেঙে যাওয়া ছাড়াও কিছু ঘর ভেঙে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) খোরশেদ আলম জানান, দ্বীপের উত্তর, পশ্চিম এবং পূর্বে জেটি ঘাট পর্যন্ত এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আবাসিক হোটেল প্রিন্স হেভেনের অংশের ভাঙন ব্যাপক হয়েছে। ডেইল পাড়া এলাকায় কমপক্ষে ১২টি ঘর ভেঙে গেছে।
দ্বীপের বাসিন্দা আবু তালেব জানান, জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বেশিক্ষণ স্থায়ী না হলেও লোনা পানিতে নানাভাবে ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। দ্বীপের উত্তর পাশ ঘিরে ভাঙন বেড়েছে ব্যাপক। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির নির্মাণাধীন ভবনের কাছাকাছি ভাঙন পৌঁছে গেছে। যেখানে অনেক ঘরও ভেঙে যাচ্ছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, জোয়ারের পানিতে দ্বীপ প্লাবিত হয়েছে। ভাঙন তীব্র হচ্ছে। ১২টি বসত ঘরসহ গাছ-পালা ভেঙে গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, জোয়ারের পানি দ্বীপে প্রবেশ করে প্লাবিত হওয়ার তথ্য রয়েছে।