নিউজ ডেস্ক::
নিজের বিয়ে বন্ধ করতে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এক শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তর কাট্টলী মোস্তফা হাকিম ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন প্রিয়াংকা দাশ (১৮) নামের ওই শিক্ষার্থী।
রোববার সকালে ওই কলেজে গিয়ে আবেদন করে সহযোগিতা চান তিনি। জোর করে বিয়ে দেওয়া হলে আত্মহত্যা করারও হুমকি দিয়েছেন।
প্রিয়াংকা জানান, মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তিনি। তার আরো ৬ বিষয়ে পরীক্ষা বাকী রয়েছে। তার বাবা বাবুল দাশ সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসে তাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছেন।
কিন্তু বিয়ের ব্যাপারে তিনি সম্মতি না দিলেও অভিভাবক একক সিদ্ধান্তে সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে। আগামী ২৭ মে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে জোর করে তার আশির্বাদও সম্পন্ন করেছে।
সীতাকুন্ড উপজেলার বড় কুমিরা লেদাবাসী দাশ বাড়ীর মেয়ে প্রিয়াংকা রোববার সকালে কলেজে আসেন। কলেজ অধ্যক্ষ মো. আলমগীরের কাছে নিজের বিয়ে বন্ধ করতে লিখিত আবেদন করেন। এতে তিনি বলেন, পড়া শেষ না করে বিয়ে করবেন না। এ ছাড়া যে ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করা হয়েছে তার সঙ্গে বয়সের অনেক পার্থক্য। আর পড়ালেখা বন্ধ করে জোর করে বিয়ে দিলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলমগীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মেয়েটি আমাদের কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। সে আমাদের কাছে এসেছে। তার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি আমরা সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসিকে জানিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু মেয়েটি এখন প্রাপ্ত বয়স্ক, ভাল-মন্দ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তার রয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন মেয়েটি বিয়েতে রাজি না থাকায় আমাদের কাছে এসেছে আইনি সহায়তার জন্য।’
এদিকে মেয়ের বাবা বাবুল দাশের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘মেয়ের পিছনে আমার অনেক টাকা পয়সা খরচ হয়েছে। বিয়েতে রাজি না হলে প্রয়োজনে তাকে ত্যাজ্য করা হবে। এ ছাড়া যে ছেলের সঙ্গে প্রিয়াংকার বিয়ে ঠিক হয়েছে, প্রয়োজনে তার সঙ্গে প্রিয়াংকার ছোটবোনকে বিয়ে দেবেন বলেও তিনি জানান।’
পাঠকের মতামত