মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বুথিডং শহর গত শনিবার দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। সেখানে রোহিঙ্গাদের বাড়িতে আগুন দিচ্ছে তারা। সেইসঙ্গে চালাচ্ছে লুটপাটও। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএননের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জান্তা সরকার এরইমধ্যে ওই রাজ্যে ইন্টারনেট ও টেলিকম সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বাইরে থেকে বুথিডংয়ের অবস্থা সম্পর্কে জানা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশে একটি শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা কবি ফারুক সিএনএনকে জানান, শনিবার থেকে তিনি তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছে, প্রায় ২ লাখ মানুষ আরাকান আর্মির ভয়ে বুথিডং ছেড়েছে। এদের মধ্যে অনেক নারী, শিশু রয়েছে যারা খাবার, ওষুধ ছাড়াই ধান খেতের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। তবে এর সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রোহিঙ্গা সহায়তার তহবিল ঘাটতিতে উদ্বেগ বাড়ছেরোহিঙ্গা সহায়তার তহবিল ঘাটতিতে উদ্বেগ বাড়ছে
এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি সিএনএন। তবে স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা যায়, গত শনিবার সকাল থেকে বুথিডংয়ের কেন্দ্রীয় শহরে বিশাল এলাকাজুড়ে আগুন জ্বলছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যাক্সার টেকনোলজিসের স্যাটেলাইট ইমেজের তথ্য অনুযায়ী, ওই দিন বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বুথিডংয়ে।
রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্ট ন্যায় সান লুইন বলেন, পুরো শহরটি জ্বলছে। খুব কম বাড়ি আছে যেখানে আগুন লাগানো হয়নি।
২০১৬ ও ২০১৭ সালেও একই ধরনের নির্যাতন চালানো হয়েছিল রোহিঙ্গাদের ওপর। ওই সময় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। মিয়ানমারে থাকা অনেক তরুণ রোহিঙ্গাকেই জোর করে দলে অন্তর্ভুক্ত করছে মিয়ানমারের জান্তা সেনা ও বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা।