ডিলার পর্যায়ে জ্বালানি তেলের কমিশন বৃদ্ধি ও তেলের মূল্য সমন্বয় করেছে সরকার। গতকাল সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সমন্বয় কার্যকর করেছে। এর ফলে প্রতি লিটার তেল বিক্রি করে আগে যে পরিমাণ মুনাফা করতেন, এখন থেকে আরও বেশি মুনাফা করতে পারবেন তারা। তবে ভোক্তাদের আগের দামেই তেল কিনতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে, বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তার অধীনস্থ কোম্পানিগুলোকে নতুন দরে জ্বালানি তেল বিক্রি করতে বলেছে।
নতুন দরে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক) নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ টাকা। কেরোসিন মূসকসহ ১০১ টাকা ৪৪ পয়সা, মূসকসহ অকটেনের মূল্য ১১৯ টাকা ৬২ পয়সা এবং মূসকসহ পেট্রল ১১৪ টাকা ৮৬ পয়সা করা হয়েছে।
বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ১০৯ টাকা, পেট্রল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।
ডিজেলের নতুন মূল্য কাঠামোতে বলা হয়েছে, প্রকৃত মূল্য ৮৮ টাকা ২১ পয়সার সঙ্গে মূসক ১৩ টাকা ২৩ পয়সা যোগ করে এক্স-রিফাইনারি মূল্য ১০১ টাকা ৪৪ পয়সা।
ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক ২ টাকা ১৪ পয়সা, বিপণন কম্পানির মার্জিন ৫০ পয়সা, পরিবহন ভাড়ার তহবিল হিসাব ৯০ পয়সা, বিপিসির জ্বালানি তেলখাত উন্নয়ন তহবিল ১০ পয়সা মিলে স্থাপনা মূল্যকেন্দ্র মূল্য ১০৫ টাকা ০৮ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ডিলারদের স্থানীয় পরিবহন খরচ (৪০ কিলোমিটারের মধ্যে) ৯৩ পয়সা, ডিলার ও এজেন্ট কমিশন ২ টাকা ৯৯ পয়সা। সব মিলিয়ে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হবে ১০৯ টাকা।
অন্যদিকে, কেরোসিনে মূসক ১৩ টাকা ৩৪ পয়সা, পেট্রলে ১৪ টাকা ৯৮ পয়সা এবং অকটেনে ১৫ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডিলার বা এজেন্ট পর্যায়ে কমিশন নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। গেজেটে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণ/সমন্বয়ের (বৃদ্ধি/হাস) ক্ষেত্রে অবচয় এবং সব খরচসহ ডিলার/এজেন্টস্ কমিশন এবং ট্যাংকলরির ভাড়াসহ অকটেনে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ, পেট্রোলে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ, কেরোসিনে ২ শতাংশ ও ডিজেলে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমিশন নির্ধারণ করে সরকার।