সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::
পত্রিকা ও অনলাইনে একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশের পরেও টনক নড়েনি উখিয়া বনবিভাগের।থামানো যায়নি উখিয়া সদর রেঞ্জের মাছকারিয়া সংলগ্ন মোঃ আলীর ভিটা নামক স্থানে বনবিভাগের জায়গার উপর নির্মানাধীণ নব্য কোটিপতির দালান নির্মান।স্থানীয় দু,জন জনপ্রনিধিকে ম্যানেজ করে বনবিভাগের জায়গায় রাতদিন শ্রমিক দিয়ে স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তার নাকের ডগার উপর দিয়ে বাধাঁহীনভাবে কাজ চালিয়ে গেলেও স্থানীয় বনবিভাগ নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন সদর বনবিটের অধীনে সংরক্ষিত বিশাল বনাঞ্চল সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী ইয়াবা পাচারকারী ভূমিদস্যরা জবরদখল করে নিয়েছে। সদর বিটের মাছকারিয়া সংলগ্ন মোঃ আলীর ভিটা নামক স্থানে এলাকার জাফর আলমের ছেলে নজির আহামদ সরকারী বনবিভাগের জায়গায় প্রকাশ্যে বিশাল পাকা বাউন্ডারী নির্মান করছে।ভেতরে নির্মান করা হচ্ছে বহুতল বাড়ী।কিন্ত স্থানীয় বনবিভাগ এ ব্যাপারে রহস্যজনকভাাবে নিরব। উখিয়া বাজারের ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী নজির আহামদ হঠাৎ গাড়ী বাড়ীর মালিক হওয়াকে এলাকাবাসী সন্দেহের চোখে দেখছেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকামেট্রো-চ-৫১-৭৭৩১ নাম্বারের একটি ভক্সি গাড়ী কিনেছেন। তার ছেলে ব্যবহার করছে দুইটি দামি মোটর সাইকেল, এখন তিনি আর মাছ ব্যবসা করছে না। খবর নিয়ে জানা গেছে নজির আহামদের মেয়ে জামাই টেকনাফের হ্নীলার ইমরান স্বরাষ্টমন্ত্রনালয়ের তালিকায় ২৫ নাম্বার স্থানে থাকা ইয়াবা ব্যবসায়ী। ইমরানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তাই জামাই ও ছেলে অবৈধ টাকার গরমে স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে বনবিভাগের জায়গা জবরদখল করে বহুতল দালান নির্মাণ করে গেলেও কেউ প্রতিবাদ করছেনা।স্থানীয় সচেতন জনগণ জানান, বন বিভাগকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে সরকারি জায়গার উপর অবৈধ স্থাপনা বা বহুতল দালান নির্মাণ করেছেন তিনি।তাছাড়া দুইজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বনবিভাগের জায়গায় নজির আহামের দালান নির্মান তদারকি করছে। মোঃ আলী ভিটায় বনবিভাগের জায়গায় দালান নির্মানের ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া সদর বিটের অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে থাকা বিট কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান,তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন,নজির আহামদকে দালান নির্মান বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে,কিন্ত তবুও সে মানছেনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, নজির আহামদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে।কিন্ত স্থানীয় প্রসাশনের সহযোগিতা না পাওয়ায় উচ্ছেদ করা যাচ্ছেনা।এ বিষয়ে কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি দেখে যথযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।