এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার::
কক্সবাজারে সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বর্ষণে পর্যটন শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্থানীয়দের পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছে পর্যটকেরাও।
আজ শুক্রবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়েছে শহরের নিম্নাঞ্চল। পানির নিচে রয়েছে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হোটেল মোটেল জোনের প্রধান সড়ক। যার কারণে যান চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। হোটেলে রুমবন্দী রয়েছে পর্যটকেরা। অনেকেই সমুদ্র দেখতে হোটেল থেকে বের হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। হাঁটু পরিমাণ পানিতে চলাচল করে যেতে হয়েছে গন্তব্যে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সায়েরা বেগম মিনু বলেন, ঢাকায় জলাবদ্ধতা দেখেছি। এবার পর্যটন রাজধানীতেও দেখলাম। রাস্তায় গাড়ি নেই, চলাচলে খুবই কষ্ট হয়েছে। এখানে দেশী-বিদেশী পর্যটক আসে। তাই জলাবদ্ধতা নিয়ে সব দপ্তরকে ভাবা উচিত।
শহরের বার্মিজ মার্কেট থেকে বাজারঘাটা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পাড়া-মহল্লার সড়ক-উপসড়কগুলোও পানির নিচে রয়েছে। এতে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন, তাও অতিপ্রয়োজনে।
শহরের গোলদিঘির, বৌদ মন্দির সড়ক, বড় বাজার, টেকপাড়া, কালুর দোকান, তারাবনিয়ারছড়া, নুর পাড়া, সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক, ফদনার ডেইল, কুতুবদিয়া পাড়া ও হোটেল মোটেল জোনের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। অনেকে বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে বেড়েছে জনদুর্ভোগ।
শহরের গোলদিঘির পাড় এলাকার বলরাম দাশ অনুপম জানান, ঘুম থেকে ওঠে দেখি রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সকাল থেকে ঘরবন্দী হয়ে আছি। নাস্তা বা বাজার করার জন্যও বের হতে পারছি না।
টেকপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, পাহাড় কাটা ও নালা পরিস্কার না করার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পৌর শহরের অধিকাংশ নালা দখল হয়ে গেছে। নালার উপর গড়ে উঠেছে নানা স্থাপনা। পৌর মেয়রের প্রতি অনুরোধ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নালাগুলো যেন দখলমুক্ত করা হয়।
বড় বাজার এলাকার ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, এখানে অনেক দোকানে পানি ঢুকেছে। এতে অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সবাই ব্যস্ত মালামাল সরাতে।
বৃহত্তর টেকপাড়া জনকল্যাণ সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম কেলু বলেন, এখানে নতুন করে রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণ হচ্ছে। তাই অনেক সড়ক বন্ধ। পানি চলাচল করতে না পারায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন থাকতে পারে