শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি::
সপ্তাহ জুড়ে টানা বৃষ্টিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমির রবি শষ্য ও ক্ষেত খামার। গত দুই দিন যাবৎ বৃষ্টি কম হলেও গতকাল রবিবার ভোর রাত থেকে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অতি বৃষ্টির ফলে উপজেলার কৃষকদের মাঝে এখন দুঃচিন্তা বিরাজ করেছে।
সরজমিনে ঘোরেও প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় উপজেলার ঘুমধুম, সোনাইছড়ি, দোছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, বাইশারী এবং পার্শ্ববর্তি গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে তরমুজ, খিরা, বেগুন, মরিচ, আলোসহ রবি শষ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি ধান ক্ষেতও তলিয়ে গেছে। এছাড়া রাবার বাগানসহ বনজ বাগানের বিশাল ক্ষতি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে বাইশারী, ঈদগড়, ঈদগাঁও সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া অতি বৃষ্টির ফলে পাহাড় ধসের আশংকাও লক্ষ করা যাচ্ছে এবং অতি বৃষ্টির ফলে জন জিবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
সরজমিন ঘোরে আরো দেখা যায় বর্তমানে পাহাড় থেকে সংগ্রহ করা লক্ষ লক্ষ টাকার ফুল ঝাড়– মাঠে শুকানোর জন্য রাখা হয়েছিল। উক্ত ফুলঝাড়– পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়িদের অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে যানান ব্যবসায়ি জসিম উদ্দিন।
বাইশারী ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষক নুরুল আমিন, আবু শামা, মোহাম্মদ হোছন সহ অনেকে জানান তাদের সীম ক্ষেত, বেগুন, খিরা, মরিচ, তরমুজসহ শাক শজ্বি গাছ এখন মারা যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে প্রতি জন কৃষকের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা আরো জানান কেবল মাত্র গাছে ফলন ধরা শুরু হয়েছে এখনো কোন ধরনের বাজার জাত করতে পারেনি। তাই কৃষকেরা এই ক্ষতি আর কখনো পোষিয়ে উঠতে পারবেনা বলে জানান। এছাড়া পানিতে তলিয়ে যাওয়ার করণে উপজেলার ৫ ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তী গর্জনিয়া কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে কয়েক কোটি টাকার তামাক ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। যার ফলে অনেক কৃষক এখন দিশাহারা। একদিকে মহাজনদের কাছ থেকে সুদে নেওয়া টাকা অপরদিকে তামাক কোম্পানি আগাম নেওয়া টাকা পরিশোধের ভয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন এই প্রতিবেদকের নিকট। বর্তমানে আবহাওয়া এখনো খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এই রিপোর্ট লিখা ও পাঠানো পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল।
পাঠকের মতামত