হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া::
নির্বাচন সামনে রেখে উখিয়া টেকনাফ আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি নিজেদের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে চায়। উদ্দেশ্য হচ্ছে পূর্ণ শক্তি নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেয়া। এই লক্ষে উভয় দলই সম্প্রতি বেশ কিছু কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার সফর করে নৌকার জন্যে ভোট চেয়েছেন। অপরদিকে দল পুনর্গঠনে এবার আদা জল খেয়ে কাজে নেমেছে বিএনপি। এ ছাড়া নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কক্সবাজার সফর করেছেন। এতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা ও সাধারণ ভোটারদের কাছে পেতে নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন। বিয়ে,মসজিদের বার্ষিক সভা, সামাজিক বিভিন্ন রীতিনীতিতে আর্থিক সহযোগিতাসহ নিজে অংশ গ্রহণ করছেন। উভয় দলের নেতাকর্মীদের কদর ও বেড়েছে। সংবিধান মতে,২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে ক্ষমতাসীন দলের,নেতা-মন্ত্রীরা বলছেন, বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এ ক্ষেত্রে আগামী বছরের শেষ দিকে অথবা ২০১৯ সালের প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের দেড় বছরের আগে থেকেই সম্ভাব্য দুই প্রতিদন্ধী শিবির এখনোই নিজ নিজ দলে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। এ বিষয়ে জানার জন্যে যোগাযোগ করলে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতারা বলেছেন, দশম সংসদ নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচন একতরফা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দেশের মানুষ এবং বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশে একটি অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। তাই সব দলই এবার নির্বাচনের আগে নিজ দলকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত রাখবে।এই লক্ষে দুই দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র সব পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও উখিয়া-টেকনাফ সাংগঠনিক টিমের প্রধান শাহ আলম চৌধুরী রাজা বলেছেন, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রস্তুতি দেখভালো, সমস্যা এবং সম্ভাবনার দিকগুলো তদারকির জন্যও আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দুই দলই এখন পূর্ণ শক্তি নিয়ে নির্বাচন লড়াইয়ে যেতে চায়। নির্বাচন নিয়ে দেশের প্রধান দুই দলের এই প্রস্তুতিকে ভালো লক্ষণ বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই গণতন্ত্রের সৌর্ন্দয।
পাঠকের মতামত