আমাদের আয়ের সক্ষমতা সমান থাকে না। কখনও কমে বা কখনও বাড়ে, স্থায়ী ভাবে আয় কমে গেলে কিভাবে বাতিল করবেন টিন সার্টিফিকেট?
এ প্রশ্নে পড়ে যাই অনেকেই, প্রথমত কোথায় এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে টিআইএন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য। আদোও কি টিআইন নাম্বার বা সার্টিফিকেট বাতিল করা জরুরী? এসব প্রশ্নের উত্তর জানবো আজ।
টিআইএন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন করলেই আয়কর দাখিল করতে হবে এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। আপনার আয় আয়কর রিটার্ণ দাখিলের সীমার মধ্যে আছে কিনা দেখে নিতে হবে।
প্রথমত মাসিক আয় ১৬০০০ টাকা ক্রস করলে টিন সার্টিফিকেট খুলতে হবে এবং শুধুমাত্র রিটার্ণ দাখিল করতে হবে, আয়কর নয়।
অন্য দিকে আপনার বার্ষিক আয় ২,৫০,০০০/- টাকা ক্রস করলে আপনাকে সর্বনিম্ন ৩,০০০ টাকা আয়কর রিটার্ণ দাখিল করতে হবে উপজেলার ক্ষেত্রে। আপনার আয় আয়কর সীমার নিচে নেমে গেলে আপনি শুধুমাত্র রিটার্ণ দাখিল করবেন, আয়কর নয়।
কেউ মারা গেলে তার টিন সার্টিফিকেট কি করবেন সেটি একটি উদাহরণের সাহায্যে পরিস্কার হওয়া যাক।
বাবার মৃত্যুর পর টিআইএন বাতিল করার প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে তার উত্তরাধিকারীদের উপর। যদি এমন কোন ব্যবসা বাবার নামে থাকে যা টিআইএন বাতিল করিলে ব্যবসা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র বাতিল করে নতুন করে করতে হয় কিংবা বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হয় সে ক্ষেত্রে টিআইএন বাতিল না করে উত্তরাধিকারীরা প্রতিবছর বাৎসরিক রিটার্ন জমা দিয়ে Assessment করাতে পারবেন। *আর যদি টিআইএন এর কোন প্রয়োজনীয়তা না থাকে তাহলে উত্তরাধিকারীরা উপকর কমিশনার বরাবর টিআইএন বাতিলের জন্য আবেদন করিতে পারেন। *উপকর কমিশনার Inspection বা Hearing এর মাধ্যমে অথবা আবেদনের উপর ভিত্তি করে আপনার টিআইএন এর কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারেন।
প্রশ্নোত্তর পর্ব:
প্রশ্ন: টিন সার্টিফিকেট কি বাতিল করা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ যায়, উপকর কমিশনার বরবার আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন: টিআইএন থাকলেই কি রিটার্ণ দাখিল করতে হবে?*
উত্তর: না।
সূত্র: এনবিআর এর ওয়েব সাইট
মোট কথা আপনি অনলাইনে সহজেই টিআইএন সার্টিফিকেট তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু চাইলেই অনলাইনে ঘরে বসে বাতিল করতে পারবেন না। আপনাকে যথাযথ নিয়ম মেনেই টিন বাতিল করতে হবে। কেউ কেউ এটিকে নথিজাতকরণও বলে থাকেন।