উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪/০৩/২০২৪ ৯:৫২ এএম

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ে অপহৃত পাঁচ কৃষকের মধ্যে চারজনকে দুর্বৃত্তরা পুলিশের অভিযানের মুখে ছেড়ে দিয়েছে। জিম্মি থাকা একজনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সংলগ্ন পশ্চিমের গহিন পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।

উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে মো. জিহান (১৩), একই এলাকার ফকির আহম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২) ও মো. ছৈয়দুল্লাহর ছেলে মো. শাওন (১৫) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহমান (১৫)। জিম্মি থাকা মোহাম্মদ নুর (১৮) একই এলাকার বাসিন্দা।

গত বুধবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাহাড়ি এলাকায় খেতে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন অপহৃত ওই পাঁচজন কৃষক। বৃহস্পতিবার ভোরে একদল দুর্বৃত্ত তাঁদের তুলে নিয়ে যায়।

অপহৃতদের স্বজনেরা জানিয়েছিলেন, অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি তাঁদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর মধ্যে মোহাম্মদ নুরের স্বজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা এবং অন্যদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

দুর্বৃত্তদের হাতে পাঁচ কৃষক অপহরণের ঘটনাটি জানার পর থেকে পুলিশ ও র‍্যাব অভিযান শুরু করে।

টেকনাফ থানার ওসি ওসমান গনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহৃত পাঁচ কৃষককে উদ্ধারে পুলিশ ও র‍্যাব যৌথ অভিযান চালায়। পরে রাতে টেকনাফের শালবন ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে গহিন পাহাড়ে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে কোণঠাসা হলে দুর্বৃত্তরা চারজনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

এ সময় উদ্ধার হওয়াদের চোখ-মুখ ও হাত-পা বাঁধা ছিল না। তাঁরা জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তরা ছেড়ে দেওয়ার আগেই তাঁদের চোখের বাঁধন খুলে দেয়। জিম্মি হওয়ার পর থেকেই তাঁদের চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকলেও হাত-পা খোলা ছিল।

ওসি জানান, অপহৃতদের মধ্যে একজন এখনো জিম্মি রয়েছেন। তাঁকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

তবে অপহৃত একজনের পরিবার জানিয়েছে, চারজনকে মুক্তি দেওয়ার আগে অপহরণকারীরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে।

উল্লেখ্য, ১০ মার্চ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় সাতজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণকারীরা। এক দিন পরে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাঁরা ফিরে আসেন।

এর এক দিন আগে গত ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করা হয়। তাকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। গত এক বছরে টেকনাফের পাহাড়ে ১০৩ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা। বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত এসেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে।

পাঠকের মতামত

যুক্তরাজ্যের প্রেস মিনিস্টার হলেন সাংবাদিক আকবর হোসেন

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন বিবিসি প্রতিনিধি আকবর হোসেন মজুমদার। রবিবার ...

আমাদের নিয়ত সহিহ, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হলেই নির্বাচন: সিইসি

অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার ...

পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ...