পাঁচ তারকা হোটেল তৈরির জন্য বেজার কাছ থেকে এক একর জমি নিয়েছে সানসেট বে নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ২০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ হোটেল গড়ে তোলা হবে।
প্রথম আলো::
কক্সবাজারের টেকনাফে প্রস্তাবিত সাবরাং পর্যটন অঞ্চলে পাঁচ তারকা হোটেল করতে চায় সানসেট বে নামের একটি প্রতিষ্ঠান। হোটেলের পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট, কনভেনশন সেন্টার করারও পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এ জন্য সাবরাংয়ে ৫০ বছরের জন্য ১ একর জমি লিজ নিয়েছে সানসেট বে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে গতকাল বুধবার এ–সংক্রান্ত চুক্তি করেছে সানসেট। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ও সানসেট বের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ পাটওয়ারি চুক্তিতে সই করেন।
সাবরাং পর্যটন অঞ্চলটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে অবস্থিত। এটির আয়তন ১ হাজার ৪৭ একর। কক্সবাজারের কলাতলী থেকে ৮২ কিলোমিটারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের এক পাশে সারি সারি পাহাড়; আরেক পাশে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। মেরিন ড্রাইভ সড়ক যেখানে শেষ, সেখান থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে সাবরাং পর্যটন অঞ্চল। বেজার কর্মকর্তারা বলছেন, সাবরাং হবে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা পর্যটন অঞ্চল। সেখানে বিনিয়োগ হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে বেজা তিনটি পর্যটন অঞ্চল তৈরির কাজ করছে। এসব অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশি–বিদেশি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করছে।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে সানসেট বের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ পাটোয়ারি গতকাল চুক্তি স্বাক্ষরকালে বলেন, জমি তৈরি হলেই সেখানে হোটেল নির্মাণের কাজ শুরু করবেন। এতে ২০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ হবে। আর কর্মসংস্থান হবে ৩৫০ মানুষের।
বেজা জানিয়েছে, সাবরাং পর্যটন অঞ্চলে দেশি–বিদেশি পর্যটকের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সমুদ্রতীরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য উন্মুক্ত মঞ্চ করা হবে। থাকবে বিনোদনের আরও নানা সুযোগ–সুবিধা। সাবরাংকে ঘিরে সরকারের যে মহাপরিকল্পনা রয়েছে, সেটি বাস্তবায়িত হলে এ পর্যটন অঞ্চলে প্রতিদিন ৩৯ হাজার পর্যটক আসতে পারবেন। সরাসরি কর্মসংস্থান হবে ছয় হাজার মানুষের। বর্তমানে এ পর্যটন অঞ্চলের প্রশাসনিক ভবন ও ভূমি উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা বাঁধ, সেতু–কালভার্ট তৈরিসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে।
জানা গেছে, সাবরাং পর্যটন অঞ্চল চালু হলে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার সময়ও কমে আসবে। সেখানে যাওয়ার পথও কিছুটা পরিবর্তিত হবে। এখন টেকনাফের দমদমিয়া থেকে সেন্ট মার্টিনে লঞ্চে যেতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। সাবরাং পর্যটন অঞ্চলের কাজ শেষ হলে মাত্র আধা ঘণ্টায় যাওয়া যাবে সেন্ট মার্টিনে। একজন পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত দেখার পর সাবরাং পর্যটন অঞ্চল ও সেন্ট মার্টিনে একসঙ্গে দেখার সুযোগ পাবেন।