কক্সবাজারের টেকনাফে এক জেলের জালে ৩৪ কেজি ওজনের একটি পোপা মাছ ধরা পড়েছে। দাম হাঁকানো হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
বুধবার (১৪ আগষ্ট) ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে সেন্টমার্টিনের উত্তর- দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছটি ধরা পড়ে বলে ইশতিয়াক আহমদ নামের ফিশিং ট্রলারে মাঝি আমিন উল্লাহ জানান।
বুধবার সকালে দিকে ট্রলারটি মিস্ত্রিপাড়া ঘাটে এসে পৌঁছলে স্থানীয়রা পোয়া মাছটি দেখতে ভিড় জমায়।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় স্থানীয়রা মাছটিকে ‘লাল পোয়া’ বলে থাকে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, পোপা মাছের আকর্ষণ হলো পেটের ভেতর থাকা পটকা বা বায়ুথলি। এ বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা হয়।
এ কারণেই মাছটির দাম সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা হাঁকানো হয়েছে বলে জানান।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের বাজার পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলামের মালিকানাধীন ইশতিয়াক আহমদ নামে একটি ফিশিং বোট নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যান। বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন উত্তর- দক্ষিণে এলাকায় মঙ্গলবার রাতে জাল পাতেন। রাতে পোয়া মাছটি ধরা পড়ে। এটির ওজন ৩৪ কেজি।
ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ ইসমাঈল জানান, মঙ্গলবার সকালের দিকে মাঝি-মাল্লাসহ ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে রওনা হয়। রাতে সেন্টমার্টিনের দ্বীপের দক্ষিণে সাগরে জাল ফেলেন জেলেরা। এর মধ্যে বুধবার রাত তিনটার দিকে জেলেরা জাল টেনে দেখেন অন্যান্য মাছসহ বড় একটি ‘পোপা মাছ’ আটকা পড়েছে।
“মাছটি ট্রলারে তোলার পর আমাকে জানালে দ্রুত ঘাটে চলে আসতে বলি। এই দামি মাছ পেয়ে জেলেরাসহ আমি খুব খুশি।”
ইসমাইল আরও জানান, পোপা মাছটি ছাড়াও এ আর-ও অন্যান্য মাছ ধরা পড়েছে। একসঙ্গে সবগুলো মাছের দাম হাঁকানো হয়েছিল সাড়ে ছয় লাখ টাকা। এ পর্যন্ত ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। কিন্তু ভালো দামে বিক্রয়ের আশায় মাছটি ফ্রিজিং করে কক্সবাজার শহরে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “৩৪ কেজি ওজনের পোপা মাছ ধরা পড়ার খবরটি শুনেছি। এ মাছ গভীর সাগরে পাওয়া যায়। সাধারণত এত বড় পোয়া সবসময় ধরা পড়ে না। এ মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা রয়েছে