জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফঃঃ
টেকনাফের হ্নীলায় সেকায়েপ “পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচী” সংগঠকের পুরস্কার গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কর্তৃক বাস্তবায়িত শিক্ষা প্রকল্পের পুরস্কার গ্রহণে অনিয়মের এমন খবরে শিক্ষা প্রতিষ্টান এবং সংশ্লিষ্টদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উপজেলার হ্নীলা রঙ্গিখালী খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) মহিলা মাদরাসায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগে জানাযায়, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচী প্রকল্পে প্রতিষ্টানটির যৌক্তিক প্রাপ্য প্রকৃত সংগঠককে বাদ দিয়ে খন্ডকালীন সদ্য বিদায়ী এক শিক্ষককের মাধ্যমে মাদরাসার সুপার কৌশলে কাংখিত সনদ এবং সম্মাননা গ্রহণ করেছেন। পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচীতে ২০১৫সালে কৃতিত্ব অর্জনকারী প্রতিষ্টান এবং সংগঠকদের মাঝে পুরস্কার ও সম্মাননা ১৭জুলাই বিভাগাীয় শহর চট্টগ্রামে প্রদান করা হয়েছে। মাদরাসাটিতে ২০১৫সনে দায়িত্বপালনকারী সংগঠক মুহাম্মদ ফরিদুল আলমকে বাদ দিয়ে নিয়ম বহির্ভুতভাবে সদ্য বিদায়ী খন্ডকালীন শিক্ষক জুলফিকার রহমানের মাধ্যমে সুপার “শ্রেষ্ট সংগঠক”র সনদ এবং পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন বলে সুত্র জানায়। সুপার কর্তৃক এমন হস্তক্ষেপে পরিচালনা কমিটি, এলাকাবাসী, শিক্ষক এবং ছাত্রীদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মাদরাসা সুত্র জানায়, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬সালের জানুয়ারী পর্যন্ত মুহাম্মদ ফরিদুল আলমই ডিআরএইচ ইউজার কমিটির সদস্য সচিব কাম সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। যার ডিআরএইচ কোড ০২৩৫। শুরু থেকেই তিনিই প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন। অথচ ২০১৫সালের প্রদত্ত পুরস্কারটি তাঁরই প্রাপ্য ছিল। সুপার উদ্দেশ্যে মুলকভাবে স্বার্থসিদ্ধির জন্য সংগঠককে বাদ দিয়ে প্রতিষ্টান বর্হিভুত ব্যাক্তির মাধ্যমে পুরস্কারটি ভাগিয়ে নিয়েছেন বলে মুহাম্মদ ফরিদুল আলম এপ্রতিবেদককে জানান। মাদরাসার সুপারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পুরস্কার গ্রহণকারী সেই জুলফিকার রহমান শিক্ষক/শিক্ষিকাদের নিকট বিষয়টি একদম অনিয়ম হয়েছে বলে নিজেই স্বীকার করেছেন। এবিষয়ে জানতে টেকনাফস্থ প্রকল্পের সহকারী সমন্বয়কারী মোঃ আবু রেজুয়ানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রকল্পের ডেপুটি টীম লিডার মোঃ মুনির হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি আসলে একদম ঠিক হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।