এম.আবদুল হক, হ্নীলা :
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পৃৃথকভাবে পুকুরে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্র, নদীতে শিশু ও জালের রশিতে পেঁচিয়ে জেলে মৃত্যু হয়েছে।জানা যায়, ২২জুলাই শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলার হোয়াইক্যং উত্তর কাঞ্জরপাড়া মাওলানা নুরুল বশর ছিদ্দিকীর পারিবারিক পুকুরে গোসল করতে নেমে নাতি কুতুবদিয়া পাড়া এলাকার মো: আব্দুলাহর পুত্র স্থানীয় নুরানীর মাদ্রসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র আবদুল বাজিদ (১০) ডুবে যায়। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে প্রায় ১ঘন্টা পর বাজিদকে মুমূর্ষাবস্থায় উদ্ধার করে হ্নীলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র হয়ে উপজেলা নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
উলেখ্য, গত দু'বছর আগে তার বড় ওমর ফারুক ভাই একই পুকুরে ডুবে মৃত্যু বরণ করেন।
অপরদিকে বিকালে টেকনাফ পৌর এলাকার চৌধুরীপাড়ার হাসান আলীর মালিকানাধীন বিহিঙ্গী জালের শ্রমিক সাইটপাড়ার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৩)জালের কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত রশিতে পেচিঁয়ে যায় নদী পড়ে যায়। পার্শ্বের নৌকার জেলেরা তাকে মুমূর্ষাবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এদিকে সকাল ৯টারদিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী জুম্মাপাড়ার ইউছুপ জালালের হেফজখানায় পড়–য়া পুত্র মোঃ ফারুক (৮) তার সমবয়সী এক চাচাসহ ৪সহপাঠি মিলে নাফনদী উপকূলে কেওড়া ফল আনতে যায়। বিকালে তার চাচা আব্দুলাহ বাড়িতে এসে ফারুক পানিতে ডুবে যাওয়ার বিষয়টি জানায়। তখন পিতা-চাচাসহ প্রতিবেশীরা ফারুককে খুজঁতে বের হয়। অনেক খোঁজার পর চৌধুরীপাড়া খালের রঙ্গিখালী লামারপাড়া পয়েন্টে ফারুকের ভাসমান মৃতদেহ পাওয়া যায়। বিকাল সাড়ে ৫টারদিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রাত বাদে এশা স্থানীয় স্ব স্ব গোরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। তাদের মৃত্যুতে পরিবারসহ সকলের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।