মুহাম্মদ তাহের নঈম:: টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং মিনাবাজারের হাছইন্নার টেকে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রবাসীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম কে এসিড নিক্ষেপ করে শরীর ঝলসে দেয়ার ঘটনা তদন্ত করতে গতকাল ১৬ মে বিকাল ৩টায় সরেজমিন মিনাবাজার পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার ড. মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী। এ সময় টেকনাফ থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন, হোয়াইক্যং পুলিশের আইসি এসআই,ইকরামুজ্জামান, স্থানিয় জন প্রতিনিধি, মান্যগন্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। জেলা পুলিশ সুপার ঘটনার স্বাক্ষী, এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলেন। তিনি ঘটনার নেপথ্যে জড়িত কারা ? এবং এসিডদগ্ধ আনোয়ারার ও খোজ খবর নেন। মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১৬ সালে মিনাবাজারের প্রবাসী মোঃ শফিক মৃত মীর আহমদের মেয়ে আনোয়ারা বেগম কে বিয়ে করে ওমান চলে যায়। গত ২৪ জানুয়ারী ২০১৭ তাদের দাম্পত্য জীবনে এক শিশু সন্তানের জম্ম হয়। সন্তান জম্ম দেয়ার ৬দিন পর সদ্য প্রসূতি আনোয়ারা বেগম নবজাতক শিশু সন্তান কে দুগ্ধ পান করা অবস্থায় ৩০ জানুয়ারী ২০১৭ সকাল ১১টায় আব্দু শুক্কুর মিস্ত্রির পুত্র মোঃ শফিক,আয়ুব আলীর পুত্র মোঃ হারুন, মৃতু আবুল শামার পুত্র নুরুল আমিন মুন্সিয়া, রাজিয়া বেগম একটি অনৈতিক কর্মকান্ড ধামাচাপা দিতে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে (অনৈতিক কাজের স্বাক্ষী) আনোয়ারা বেগমের উপর এসিড নিক্ষেপ করে।এতে আনোয়ারার নাকে,মুখে,স্তনে,বুকে ও হাতে জলসে যায়। এসিডের আঘাতে নবজাতক শিশু সন্তানের শরীর ও পুড়ে যায়। আহত আনোয়ারা ও নবজাতক শিশু কে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পওে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করে। পরে আনোয়ারার অবস্থার অবনতি হলে চমেক কর্তৃপক্ষ ঢাকা মীরপুরস্থ এসিডসারভাইবার ফাউন্ডেশনে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় স্থানিয় এক মেম্বারের ইন্ধন রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে গত ২০/০৪/২০১৭ ইং কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ বিধান আইন সংশোধিত ৪(২)(ক)/৩০ ধারায মামলা হয়েছে। হোয়াইক্যং পুলিশের আইসি এসআই,ইকরামুজ্জামান জানান,এ ঘটনায় মূল আসামী মোঃ শফিক পিতা আব্দু শুক্কুর মিস্ত্রি কে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ও ধরার অভিযান চলমান রয়েছে।
বর্তমানে অসহায় নবজাতকের প্রসূতি মা আনোয়ারার অবস্থা আশংকা জনক বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। আসামীদের হুমকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে আনোয়ারার পরিবার।
এদিকে ঘটনা টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি অসাধু চক্র। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।