কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৯৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ বাংলাদেশি ও মায়ানমারের মুদ্রা উদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে এক মাদক কারবারিকেও আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোরে টেকনাফের মধ্যম জালিয়াপাড়ায় র্যাব এ অভিযান পরিচালনা করে।
কক্সবাজারের র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (ল এন্ড মিডিয়া) মো. কামরুজ্জামান শনিবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছেন।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, টেকনাফের মধ্যম জালিয়াপাড়া এলাকায় জনৈক এক ব্যক্তির বসতঘরে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোরে সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল ওই এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বসতঘর থেকে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে নজরুল ইসলাম নামে একজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
অভিযান চলাকালে আরো কয়েকজন মাদক কারবারি দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে উক্ত বসতঘর তল্লাশি করে সর্বমোট ৯৫ হাজার ১৩৫ পিস ইয়াবা বিক্রির ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং পার্শ্ববর্তী দেশ হতে মাদক ক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে রক্ষিত মায়ানমারের মুদ্রা ৫ লাখ ৫ হাজার কিয়াট উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারি তার নাম নজরুল ইসলাম (৪১)। তার বাবা মৃত জালাল উদ্দীন বলে জানান। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়ার শাহারবিল ইউনিয়নের ছখিনা বাপের পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রায় ৪/৫ বছর পূর্বে টেকনাফ থানা এলাকায় প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি করার সুবাধে উপজেলার মধ্যম জালিয়াপাড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানসহ বসবাস করে আসছে মর্মে জানায়।
পর্যায়ক্রমে তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বলে স্বীকার করেন।
পাঠকের মতামত