টেকনাফের ‘স্বঘোষিত ইয়াবা কারবারি’ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ২ কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবরে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদি দুর্নীতি দমন কমিশনের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-৩) মো. মনিরুল ইসলাম।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০২ জন ব্যক্তি নিজকে ইয়াবা কারবারি স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেন। ওই সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশ প্রধান ড. জাবেদ পাটোয়ারী সহ অনেকের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণকারিদের একজন জাহাঙ্গীর আলম।
যদিও এ সংক্রান্ত দায়ের করা মামলায় ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর খালাস পান সকলেই।
দুদকের দায়ের করা মামলায় বাদি মো. মনিরুল ইসলাম এজাহারে উল্লেখ করেছেন, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধান শেষে জাহাঙ্গীর আলমকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়। তিনি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এতে যাচাইকালে দেখা যায় যে, আসামী জাহাঙ্গীর আলম দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে জাহাঙ্গীর আলম তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ২ কোটি ৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬২৮ টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখার প্রমাণ মিলেছে। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক অনিক বড়ুয়া বাবু জানিয়েছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় ১ (এক) টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এব্যাপারে দুদকের আইন মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে জাহাঙ্গীর আলমের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সুত্র, দৈনিক কক্সবাজার