হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :
টেকনাফের রাজারছড়া গ্রামে হাত-পা কেটে জবাই করে স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। ২৯ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুই সন্তানের জননী স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা টেকনাফ থেকে মাদকসেবী ঘাতক স্বামীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
জানা যায় দিনাজপুর বিরল থানার কোশাল ডেঙ্গি গ্রামের আবদুল গফুরের পুত্র মোহাম্মদ রুবেলের (২৮) সাথে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া গ্রামের বদিউল আলমের মেয়ে রোকেয়া আক্তারের (২১) ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী কক্সবাজার নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের এফিডেভিট মূলে বিয়ে হয়েছিল। এরপর রাজারছড়া এলাকায় শ্বশুর বদিউল আলমের বাড়ীতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতো রুবেল। বছর দেড়েক আগে এ দম্পতি দিনাজপুর চলে যান। গত রমজান মাসে রোকেয়া আক্তার সন্তান জন্ম দানের জন্য টেকনাফে পিতার বাড়ীতে আসেন। গত ২০ দিন আগে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান আসে। খবর পেয়ে এক সপ্তাহ আগে স্বামী রুবেল দিনাজপুর থেকে শ্বশুর বাড়ীতে এসে এ হত্যাকান্ড ঘটায়। নিহত রোকেয়ার মা জানান, ২৯ অক্টোবর শনিবার সাড়ে ১২ টার সময় স্বামী রুবেল স্ত্রী রোকেয়াকে হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে গলায় দা দিয়ে জবাই করে। বাসায় তারা ২জন ছাড়া সবাই ক্ষেতের কাজে বাড়ীর বাইরে ব্যস্ত ছিলাম। বাসায় এসে দেখি পাশের রুমে আমার মেয়ে রোকেয়ার রক্তাক্ত লাশের নিথর দেহ পড়ে আছে। রুবেল আমাকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় বড় সন্তান সিফাত (৩) নানীর সাথে ছিল।
এ খবর বাইরে জানাজানি হলে এলাকার লোকজন খুনি রুবেলকে টেকনাফ পৌরসভার শাপলা চত্তর থেকে ধরে পুলিশে দেয়। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ রক্তাক্ত রুবেলকে টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি করান। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ বলেন খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটছে বলে পুলিশের ধারণা।