কক্সবাজার জেলার টেকনাফে ৫ কৃষক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনা এলাকায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ওই ৫ জন ভোরে ধানচাষ ও খেতে কাজ করতে যান। এ সময় ৭-১০ জন সেখান থেকে ৫ জনকে অপহরণ করে। অপহরণকারীরা ৫ জনের প্রত্যেকের জন্য ৫ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে।
টাকা না পেয়ে তারা কৃষক শাহাজাহানকে গুলি করে। এছাড়া আবু বক্কর ও মেহেদী হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে অপহরণকারীরা।
পরে কৃষকদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শাহাজাহান গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আহত আবু বক্কর ও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এখনো নিখোঁজ আছেন হ্নীলার পানখালী এলাকার নজির আহমদ ও তার ছেলে।
শাহাজাহানের বাবা আবুল মঞ্জুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ছেলে শাহাজাহান পাহাড়ের পাদদেশে ধানখেত পাহারা দিতে গেলে সশস্ত্র অপহরণকারীরা তাকেসহ ৫ জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেয়ে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে।'
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ডেইলি স্টারকে জানান, তার এলাকার কৃষকদের খেত-খামার রক্ষণাবেক্ষণের কারণে গহীন পাহাড়ে যেতে হয়। ধানখেত থেকে ৫ কৃষককে অপহরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, কৃষক অপহরণের বিষয়টি টেকনাফ থানায় জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।