কক্সবাজারের টেকনাফে ৭ম শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে গ্রেফতারের ঘটনায় অধিকতর তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি। চট্টগ্রাম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
আজ বুধবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি ও হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবায়েত হোসাইনের নেতৃত্বে এই আবেদন করা হয়।আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ নভেম্বর ভোরে ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাউসিফুল করিম রাফিকে (১৩) টেকনাফ থানা ওসি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন অস্ত্র বহনকারী হিসেবে শিশু অপরাধ আইনে গ্রেফতার দেখায় (যার মামলা নং: ৮০/৬৮৫)।
এই মামলায় দুই সাক্ষী মাওলানা জামাল হোসাইন ও সুফাইদা আক্তারের বক্তব্যে রাফিকে দিয়ে জোরপূর্বক জবানবন্দি আদায় এবং তার হাতে অস্ত্র পাওয়া যায়নি সেটা স্পষ্ট হওয়া গেছে। এছাড়াও ওসির ভয়ে সাদা কাগজে তারা স্বাক্ষর করেন বলে জানায়।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানায়। সকলেই অন্তবর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় বরাবর সুবিচার প্রত্যাশা করে শিশু রাফির কারামুক্তি এবং ওসি গিয়াসউদ্দিনের টেকনাফ থেকে প্রত্যাহার চেয়েছেন।
এই প্রেক্ষিতে আবেদনে টেকনাফ থানার ওসি গিয়াস উদ্দীনকে প্রত্যাহার ও শিশুটিকে নিঃশর্ত কারামুক্তির সহযোগীতা চেয়েছেন। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ডিআইজি মৌখিক ভাবে কক্সবাজার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আবেদনকারী রুবাইয়েত হোসাইন।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ ‘ জানান, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ কাজ শুরু করেছে
পাঠকের মতামত