টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত কুমার বড়ুয়া ও বর্তমান ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর একটি সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি আরও জানায়, টেকনাফ মডেল থানার বর্তমান ওসি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ, বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি থাকাকালীন সুপার রিফাইনারি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শিল্পপতি সেলিম আহাম্মদের বিরুদ্ধে তেল পাচারের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। পরে চাকরি ফিরে পেয়ে মহেশখালী থানায় যোগ দিয়ে অনেক সুনাম অর্জন করেন। বর্তমানে টেকনাফে ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
অপরদিকে রণজিত কুমার বড়ুয়া বর্তমানে ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ২০১৮ সালে টেকনাফ মডেল থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন। এরআগে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে নামে-বেনামে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানকালেও তিনি একাধিক ব্যাংকের এফডিআর ভাঙিয়েছেন বলে জানা গেছে। সাউথ ইস্ট ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংকে নামে-বেনামে তার একাধিক স্থায়ী আমানতের খোঁজ পেয়েছে দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক লুৎফর কবির চন্দন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রাম বিভাগের বেশ কয়েকজন ওসির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কারও বিষয়ে নির্দিষ্ট করে তথ্য দিতে রাজি হননি তিনি।