উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ২৫/০৩/২০২৪ ৭:৫৭ পিএম

রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে মিয়ানমারে পাচারকালে ৫৭টি ড্রামে তিন হাজার ১৩৫ লিটার অকটেন জব্দ করেছে র‍্যাব-১৫। এসময় তিনজন যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

রোববার (২৪ মার্চ) রাতে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালীতে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী।

গ্রেফতাররা হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালীর মৃত ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আলী আহমদ (৩৮), মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে নাজিম উল্লাহ (৩৭) ও মৃত সোনা আলীর ছেলে মোহাম্মদ হোছন (৪২)।

আবু সালাম চৌধুরী জানান, কক্সবাজারের সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও পাচারকারী জ্বালানী তেলসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ও ওষুধ অবৈধভাবে পাশ্ববর্তী দেশে পাচার করছে। এতে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আবার দেশীয় খাদ্যদ্রব্য, অকটেন, ডিজেল অন্য দেশে পাচার হওয়ায় দেশে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাচার রোধে র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ও তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি জানান, গোপন সংবাদে র‍্যাব-১৫ জানতে পারে, টেকনাফের বাহারছড়ার উত্তর শীলখালী এলাকার মৃত সৈয়দ করিমের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ অকটেন মায়ানমারে পাচার করার উদ্দেশ্যে মজুত করা হয়েছে। এ খবরে রোববার রাত সাড়ে ৪টায় র‍্যাব-১৫ এর একটি দল অভিযান চালালে উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে কতিপয় লোকজন পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের ৫-৬ জন সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বসতঘরে পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ অকটেন মজুত রাখার কথা স্বীকার করেন তারা। পরে তেলভর্তি ৫৭টি ড্রাম জব্দ করা হয়। এতে তিন হাজার ১৩৫ লিটার অকটেন রয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় চার লাখ আট হাজার টাকা।

র‍্যাব অধিনায়ক জানান, গ্রেফতার এবং পলাতকরা বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প হতে পাইকারি দামে এসব অকটেন কিনে অবৈধভাবে পাশ্ববর্তী দেশে চোরাইপথে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। তারা অকটেন মজুতের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এ ঘটনায় গ্রেফতারতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পাঠকের মতামত