চট্টগ্রামে ১০ হাজার ইয়াবাসহ জাহেদুল আলম নামে আর্মড পুলিশের এক সদস্যকে আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থানা পুলিশের চেকপোস্টে নিয়মিত তল্লাশির সময় তাকে আটক করা হয়। সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস থেকে লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান তাকে আটক করেন।
জানা গেছে, জাহেদুল ইসলাম কক্সবাজার ১৬ টেকনাফ এপিবিএনের কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর এপিবিএন থেকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলির আদেশ হয়। চট্টগ্রাম রেঞ্জে যোগ দিয়ে কক্সবাজার থেকে আসার পথেই আটক হন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এমনকি এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে পাঠানো জেলা পুলিশের একটি বার্তাও নির্ভরযোগ্য সূত্রে এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যেখানে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানানো হয়েছে।
ওই বার্তায় বলা হয়েছে, জাহেদুল আলমের বাড়ি ফেনীর পরশুরাম থানায়। তিনি পূর্ব সাহেব নগর এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
তাতে আরও বলা হয়, জাহেদ ১৬ এপিবিএন টেকনাফ থেকে বদলির আদেশ প্রাপ্ত হয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জে যোগ দিতে চট্টগ্রাম আসছিলেন। চুনতি চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রামগামী সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি করার সময় তাঁর ব্যাগ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
ঘটনার বিষয়ে জানতে আটককারী এসআই মাহফুজুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি কেটে দেন। পরে ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্যকে আটকের বিষয়ে প্রশ্ন করতেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম।
এমনকি মঙ্গলবার রাতের ঘটনা হলেও জানা নেই খোদ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের। অবরোধের ডিউটির ‘কারণে’ কিছুই জানা নেই বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন।
তিনি বলেন, কেউ কেউ আমাকে বলেছে। কিন্তু আমি তো বাইরে আছি, অবরোধের নিরাপত্তার ডিউটিতে আছি। এ বিষয়টা আমার নলেজে নাই। আমি বিষয়টা ঠিক জানিনা।
সবশেষ চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) দেবদূত মজুমদারের কাছে কনস্টেবল জাহেদুল ইসলামের যোগদানের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এ সম্পর্কে জানা নেই বলে জানান। কার কাছ থেকে এসব তথ্য জানা যাবে জানতে চাইলে তিনি কথা প্রসঙ্গে এ বিষয়ে তিনি আরও’র সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের অভ্যন্তরে ব্যাপক আলোচনা চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা। এছাড়াও কক্সবাজার এপিবিএনে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেও এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।