প্রকাশিত: ১৯/০২/২০১৭ ৯:৩৫ এএম , আপডেট: ১৯/০২/২০১৭ ৯:৩৫ এএম

টেকনাফ প্রতিনিধি::
টেকনাফ-মংডু ট্রানজিট যাতায়াত শুরু হচ্ছে। চার মাসের অধিক সময় ধরে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা বলবৎ থাকায় টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য, ব্যবসায়ী যাতায়াত ও একদিনের ট্রানজিট যাতায়াত অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী সেনা অভিযান শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমারের সরকারি দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এরপর টেকনাফ-মংডু যাতায়াত চালু করতে মিয়ানমার পক্ষ বাংলাদেশকে পত্র দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি ২ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে.কর্নেল আবুজার আল জাহিদ। তিনি বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পাঠানো পত্রের বিষয়টি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। যে কোন মুহূর্তে সীমান্ত বাণিজ্য, ব্যবসায়ী যাতায়াত ও টেকনাফ-মংডু ট্রানজিট যাতায়াত চালু হওয়ার আদেশের অপেক্ষায় রয়েছি। এব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। গত বছর ৯ অক্টোবর মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের কয়েকটি ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা ও ৯ পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় দু’দেশের সীমান্ত যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মিয়ানমারে শুরু হয় জরুরি অবস্থা ও সেনা অভিযান। অভিযোগ উঠে, রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর সেনা বর্বরতার। স্থানীয় রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, মিয়ানমার সেনাবাহিনী নারী ধর্ষণ, শিশুকে আগুনে নিক্ষেপ, ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া, নিরীহ মানুষ হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রায় চার মাস ধরে চলা এ অভিযানের সময় মিয়ানমার বাহিনীর বিরুদ্ধে শুধু রোহিঙ্গারা নয়, মানবাধিকার হরণের অভিযোগ তোলে জাতিসংঘসহ বিশ্বের অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাও । মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে নিধনের উদ্দেশ্যে এ সেনা অভিযান চালানো হয় বলে অভিযোগ করে রোহিঙ্গারা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ৯ অক্টোবর

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পোস্টে সন্ত্রাসী হামলায় নয় নিরাপত্তাকর্মী নিহত হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ সময়ে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চললেও এ বিষয়ে নীবর থাকায় নোবেল জয়ী অং সান সু চির সমালোচনা হয় বিশ্বজুড়ে। মুসলিম সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ তার ছিল না। মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্যে হত্যা, গণ-ধর্ষণসহ মুসলিম রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রায় সব অভিযোগ অস্বীকার করে। তাদের দাবি- আইন সম্মতভাবে সন্ত্রাসী বিরোধী অভিযান চালিয়েছে তারা। মিয়ানমারের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থায়ুং তান এক বিবৃতিতে বুধবার রাতে বলেছেন, ‘উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। সেনাবাহিনীর শুদ্ধি অভিযান শেষ হয়েছে, কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে, শান্তি বজায় রাখতে শুধু পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে সেখানে। বিবৃতিটি রাষ্ট্রীয় পরামর্শক অং সান সু চির কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতি অনুযায়ী একদল কূটনীতিক ও জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের তিনি বলেছেন, বাহুল্য শক্তি প্রয়োগ, মৌলিক মানবাধিকার হরণ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো মা হতে পারে না। যেখানে ক্ষমতা অপব্যবহারের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।’

পাঠকের মতামত

মোটরসাইকেল-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষ: প্রাণ গেলো শিক্ষার্থীর

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিয়াম আহম্মেদ (২০) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এই ...

ঢাকায় আসছেন ইলন মাস্ক!

আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী এপ্রিলে রাজধানী ঢাকায় হচ্ছে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জমকালো ...