সংসদীয় কমিটিতে প্রতিবেদন
টেকনাফ সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে
আগামী মাসে টেকনাফ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারে যুদ্ধ পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা বাড়তে পারে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উপস্থাপিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে ২০২৪ নাগাদ টেকনাফ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানা যায়। এর ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং বিজিপি সদস্যদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা বাড়তে পারে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের যেসব ঝুঁকি রয়েছে তা উল্লেখ করা হয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা/মগ) অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ; বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অরক্ষিত স্থল ও জলসীমান্তে নিরাপত্তা; রোহিঙ্গাদের রেশনের অবৈধ পাচার রোধ; মাদকের বিনিময়ে রেশন সরবরাহের ফলে মাদক ও চোরাচালানকৃত পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি পেতে পারে; সীমান্তে যুদ্ধাবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হওয়ায় সন্ত্রাসী দল/গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে পারে; স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও মগ সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরাকান আর্মির সখ্য থাকায় তারা (আরাকান আর্মি) বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডে দায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেই
বৈঠকের কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, কমিটির আগের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব অগ্নিকাণ্ডের পর দায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা হয় না বলে উল্লেখ করেন। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তখন কিছু লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হয়, পরে সব গতানুগতিকভাবে চলতে থাকে। এজন্য সব সংস্থার একটি কমন প্ল্যাটফর্ম করে যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ম কানুন না মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে সেসব প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কঠোর হস্তে কিশোর গ্যাং দমন করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
বৈঠকে কমিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীকে আরও সচেতন ও সতর্ক থেকে কাজ করার সুপারিশ করে।
সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, সামছুল হক দুদু, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, ময়েজ উদ্দিন শরীফ, মো. ছানোয়ার হোসেন, চয়ন ইসলাম, মো. সাদ্দাম হোসেন (পাভেল) ও হাছিনা বারী চৌধুরী অংশ নেন
পাঠকের মতামত