গত ১৯ এপ্রিল টেকনাফ সীমান্তের জনপ্রিয় অনলাইন টেকনাফ টুডে এবং গত ২১এপ্রিল টিটিএন সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত “ টেকনাফ সীমান্তে সর্ববৃহৎ মাদকের চালান লুটপাটে তোলপাড় ; অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে!” শীর্ষক সংবাদের একাংশ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

স্থানীয় ৪জন মাদক কারবারে জড়িত অপরাধী ও তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে ১২লাখ ৪০হাজার ইয়াবার চালান খালাস করে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ার মতো অপকর্মের কথা শুনতে পায়। যা নিয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। এই চক্রের সাথে সম্পৃক্ত হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম দেখা যায়। বিশেষ মহলের সাথে পূর্ব শত্রুতাবশত এসব অপরাধী চক্রের সদস্যদের নামের সাথে আমাদের নাম জড়িয়ে সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের একাংশে মাদক খালাসকারী চক্রের সদস্য ও সহযোগী হিসেবে স্থানীয় হোছন আহমদের পুত্র প্রবাসী আব্দুস সালাম, মৃত লাল মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ আজিজ, সেলিম ও শাহ আলমের নাম দেখে আমরা বিস্মিত। এখানে পাঠক ও প্রশাসনের সদয় অবগতির জন্য অবহিত করা দরকার যে,হোছন আহমদের পুত্র আব্দুস সালাম ভারত প্রবাসী। হায়দারাবাদে স্থায়ীভাবে বসবাস করে হোটেল ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। রমজানের ঈদ পরিবারের সাথে পালনের উদ্দেশ্যে কিছুদিনের জন্য বাড়িতে আসে। মৃত লাল মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ আজিজ, সেলিম ও শাহ আলমেরা মাছ শিকার,ক্ষুদ্র ব্যবসা ও কৃষি কাজের মাধ্যমে দিনাতিপাত করে আসছে।

এরই মধ্যে গত ১৬ এপ্রিল রাতে প্রতিবেশী এলাকায় মাদকের চালান খালাস, লুট ও ভাগ-বাটোয়ারার পর এসব অপরাধীরা পলাতক হয়ে যায় বলে এলাকায় আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আমরা সকলেই বাড়িতে আছি। প্রকৃতপক্ষে যারা পরিবার, সমাজ, দেশের শত্রু তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক তা সকলে চাই। কিন্তু ব্যক্তিগত ও পারিবারিক শত্রুতার কারণে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিভিন্ন বাহিনীর সোর্সদের ব্যবহার করে আমাদের হয়রানির চেষ্টা করছে বলে আমাদের ধারণা। আমরা মাদক নিয়ে লংকাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আমাদের নাম জড়ানো সংবাদ অংশের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আমরা এই ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের তীব্রনিন্দা জানিয়ে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে দেখে আমাদের বিশেষ শত্রুমহলের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।

প্রতিবাদকারী :
প্রবাসী আব্দুস সালাম
পিতা- হাছন আহমদ
মোহাম্মদ আজিজ, প্রবাসী সেলিম ও শাহ আলম
পিতা-মৃত লাল মিয়া
সর্বসাং-জাদিতলা, জাদিমোড়া, হ্নীলা, টেকনাফ।