ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় রোগী৷ দেশে মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিশেষ করে বর্ষাকালেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবকালীন সময় যা শীতের আগমনের আগ পর্যন্ত চলমান থাকে।
বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি, অপরিচ্ছন্ন টয়লেট অথবা ড্রেন ডোবা হলো ডেঙ্গুবাহিত এডিস মশার প্রধান প্রজননক্ষেত্র। উৎসস্থল পরিস্কার করা না হলে মশার বংশবৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।
বর্তমানে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ চলছে সারাদেশে, বিস্তার রোধে সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থাপনা নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও ব্যতিক্রম কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোগী ভর্তি থাকা ওয়ার্ডসমূহের টয়লেটগুলোর চিত্র ভয়ংকর। যেগুলো নিয়মিত পরিস্কার না করার ফলে ডেঙ্গুবাহী মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গুরোগীদের রাখা হয়েছে অন্য রোগীদের সাথে, ডেঙ্গুর জন্য ডেডিকেটেড শয্যা বরাদ্দ থাকলেও তারা নেই সেখানে।
অন্যদিকে মশারী সহ ডেঙ্গুরোগীর জন্য পরিচর্যায় বিশেষ সুবিধা থাকলেও বাস্তবে তা ভিন্ন। দেওয়া হয়নি মশারী উল্টো নামসর্বস্ব চিকিৎসায় আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তরা।
তসলিমা (২৪) নামে চিকিৎসাধীন এক রোগী জানান, " এখানে ভর্তি হয়েছি না পারতেই, কোনো সেবা পাচ্ছিনা তাই চলে যাবো।"
এই রোগীর মতো ভর্তি হয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে স্থানীয়দের চলে যেতে হয় অন্যত্র৷ হাসপাতালের পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে (১৮ অক্টোবর) তিনজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে এবং ২০২৪ সালে এপর্যন্ত ভর্তি হয়েছে মাত্র ৪৪ জন রোগী।
অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে ফোন করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রনজন বড়ুয়া রাজন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৭ হাজার ২২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছে ৪৩ হাজার ২৮ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চার হাজার ২২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।